Advertisement
১৭ মে ২০২৪

ভারত ধর্মনিরপেক্ষই, বিদেশি লগ্নিকারীদের বার্তা মোদীর

‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র স্লোগান নিয়ে ইউরোপে ঘুরলেন নরেন্দ্র মোদী। আজ উত্তর আমেরিকার পথে পা বাড়িয়েছেন তিনি। তাতে কিছুটা সাড়াও পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই সঙ্গে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্যে আঘাত নিয়েও কিছু প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। জবাব দিতে জার্মানিতে মুখও খুলতে হয়েছে মোদীকে। ভারতে গির্জায় হামলার সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন পশ্চিমী দুনিয়া। বিষয়টি ভারতের সরকারি প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি লক্ষ করেছে অন্য শিবিরও।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:৩৭
Share: Save:

‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র স্লোগান নিয়ে ইউরোপে ঘুরলেন নরেন্দ্র মোদী। আজ উত্তর আমেরিকার পথে পা বাড়িয়েছেন তিনি। তাতে কিছুটা সাড়াও পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই সঙ্গে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্যে আঘাত নিয়েও কিছু প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। জবাব দিতে জার্মানিতে মুখও খুলতে হয়েছে মোদীকে।

ভারতে গির্জায় হামলার সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন পশ্চিমী দুনিয়া। বিষয়টি ভারতের সরকারি প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি লক্ষ করেছে অন্য শিবিরও। জার্মানির হ্যানোভার মেসে শিল্পমেলায় এ বার অংশীদার রাষ্ট্র ভারত। ওই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের সঙ্গে হাজির ছিলেন মোদী। সেই শিল্পমেলাতেই শিল্পপতি সঞ্জয় কির্লোস্কার বলেন, ‘‘ভারত যে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ সেই বিষয়ে সঠিক সঙ্কেত দিতে হবে সরকারকে। বিদেশি লগ্নিকারীরা বেশির ভাগই খ্রিস্টান। তাঁদের মধ্যে কিছুটা হলেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।’’ হ্যানোভার মেসে শিল্পমেলার বাইরে ভারতের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কিছু মানুষ। সে কথাও উল্লেখ করেছেন কির্লোস্কার। সেই সঙ্গে রয়েছে সংস্কৃত নিয়ে জার্মানির সমস্যা। ৫০০টি স্কুলে জার্মানের বদলে সংস্কৃতকে তৃতীয় ভাষার মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ জার্মানি। এই সফরে অবশ্য জার্মান সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মোদীর কথা হয়নি। কিন্তু ভারতে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি লগ্নিকারীদের উদ্বেগের কথা যে তিনি জানেন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বার্লিনে মোদীর সঙ্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের একটি ভোজের আয়োজন করেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা একটি ভাষার জন্য টলে যাবে না। এই আত্মবিশ্বাস সকলেরই থাকা উচিত।’’ এক সময়ে জার্মান রেডিওতে সংস্কৃত ভাষায় সংবাদ শোনানো হতো। তখন ভারতে এই ব্যবস্থা ছিল না। সেই প্রসঙ্গ তুলে মোদী বলেন, ‘‘আমার উচিত জার্মানদের প্রশংসা করা। তাঁরা সংস্কৃতে খবর শোনানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE