ভাগবতের পাঠশালায় পড়ুয়া নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীরা।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তিন দিনের এই ক্লাসে এক একে মোদীর মন্ত্রীরা পাঠ নেবেন সরসঙ্ঘচালকের কাছে। সঙ্ঘ সূত্রের খবর, সরকার ও সঙ্ঘের মধ্যে আরও সমন্বয় বাড়াতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত বছরও এ ধরনের একটি কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা সঙ্ঘ নেতাদের কাছে হাজিরা দিয়েছিলেন। তখন ভাইয়াজি জোশী, কৃষ্ণগোপাল, সুরেশ সোনির মতো সঙ্ঘের দ্বিতীয় সারির নেতারা গোটা বিষয়টি সামলিয়েছেন। কিন্তু খোদ সরসঙ্ঘচালক কখনও নিজে এ ভাবে মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেননি।
সঙ্ঘের এক নেতার কথায়, এ বার মোহন ভাগবত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করতে চান। তবে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোহন ভাগবতকে এক বার সাত নম্বর রেসকোর্স রোডে প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু এ বার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভাগবতের বৈঠক হলে সেটি রেস কোর্সে হবে, নাকি অন্য মন্ত্রীদের
মতো নরেন্দ্র মোদীও সঙ্ঘের নেতাদের কাছে যাবেন, সেটি এখনও চূড়ান্ত হওয়া বাকি।
কী হবে এই পাঠশালার বিষয়বস্তু?
সঙ্ঘ সূত্রের মতে, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার সমন্বয় বাড়ানোই এর লক্ষ। এই বৈঠকে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ, ভারতীয় কিসান সঙ্ঘ, ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ, বনবাসী কল্যাণ আশ্রম, লঘু উদ্যোগ ভারতী, সহকার ভারতীর মতো সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখাকেও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। সঙ্ঘের প্রতিটি বিভাগ তাদের নিজ নিজ সমস্যার কথা সরাসরি তুলে ধরবে কেন্দ্রের মন্ত্রীদের কাছে। বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত সাধারণ মানুষ কোন কোন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, সরকারের কোথায় খামতি থেকে যাচ্ছে, সরকার আর কী কী করতে পারে, সেই সব বিষয় ভাগবতের নজরদারিতে মন্ত্রীদের বলা হবে।
সঙ্ঘ সূত্রের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সঙ্ঘের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলতে চাইছেন। কিন্তু এমন কিছু সিদ্ধান্ত তাঁর সরকার নিচ্ছে, যেটি আরও আলোচনা করে এগোনো উচিত। জমি বিল তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এই বিলের কিছু ধারা নিয়ে শুধু কংগ্রেস বা অন্য বিরোধী দলই আপত্তি তোলেনি, সঙ্ঘের কৃষক সংগঠনও ঘোরতর আপত্তি তোলে। এখন যা অবস্থা, বিহারের নির্বাচনের আগে এই বিলটি পাশ করানোর চেষ্টা হলে বিজেপিরই ভবিষ্যৎ সেখানে অনিশ্চিত হবে। দলকে সে কথা জানানোও হয়েছে।
সে কারণে সরকারও এখন পিছু হঠছে। সংসদের অধিবেশন ডেকে পণ্য ও পরিষেবা বিলটি পাশ করানোর চেষ্টাও বিফল হতে পারে। শিক্ষা ক্ষেত্রেও আরও কিছু বিষয় নিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইারনিকে জানানো দরকার। শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে। শ্রমিক ধর্মঘটে ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ সামিল হবে কি না, তা কাল স্থির হবে। কিন্তু সরকার যদি আগে আরও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলে এ ধরনের সঙ্কট অনায়াসেই এড়ানো যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy