Advertisement
১৭ মে ২০২৪

গুদামে পচে নষ্ট লক্ষাধিক মশারি

যুগ্ম স্বাস্থ্য অধিকর্তার কার্যালয়ের গুদামে থাকা লক্ষাধিক মশারি নষ্ট হয়ে গেল। ম্যালেরিয়া নির্মূল প্রকল্পে এই মশারি করিমগঞ্জে পাঠানো হয়েছিল। আজ সকালে গুদাম পরিবর্তন করতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৬ ০২:৫৮
Share: Save:

যুগ্ম স্বাস্থ্য অধিকর্তার কার্যালয়ের গুদামে থাকা লক্ষাধিক মশারি নষ্ট হয়ে গেল। ম্যালেরিয়া নির্মূল প্রকল্পে এই মশারি করিমগঞ্জে পাঠানো হয়েছিল। আজ সকালে গুদাম পরিবর্তন করতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

বিজেপির পুরসদস্য রূপক পোদ্দার প্রথমে বিষয়টি লক্ষ্য করেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি করিমগঞ্জ জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য়ের নজরে আনেন। জেলা সভাপতি তাঁর দলবল নিয়ে কার্যালয়ের সামনে থাকা গুদামে ছুটে আসেন। ডেকে আনেন করিমগঞ্জের সার্কেল অফিসার হোমেন বড়গোঁহাইকে। অধিকাংশ মশারি গুদামে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে গেছে। পচন ধরেছে মশারিতে। অথচ সেই মশারিগুলি বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছিল। ব্যবহার করা হয়েছিল ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক ওষুধও।

করিমগঞ্জে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ থাকা সত্ত্বেও সেগুলি বিতরণ করা হয়নি। গুদামে থাকা লক্ষাধিক মশারি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি সভাপতি বিশ্বরূপবাবু। তিনি বলেন, আজই গুয়াহাটিতে যাবেন। সাক্ষাৎ করবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার সঙ্গে। কার দোষে এই মশারিগুলি বন্টন করা হল না, তা জানার চেষ্টা করবেন তিনি। সেই সঙ্গে তদন্ত করার আর্জিও জানাবেন। তাঁর মতে, জনগণের টাকা দিয়েই সরকার মশারিগুলো কিনেছিল। কোনও ভাবেই জনগণের অর্থের অপচয় বরদাস্ত করবে না বিজেপি। ঘটনার তদন্ত চাইবেন তাঁরা।

বিষয়টি নিয়ে করিমগঞ্জের স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা কৃষ্ণ কেম্প্রাই জানান, ২০০১ সালে মশারিগুলো করিমগঞ্জে এসেছিল। কিন্তু কী কারণে সেগুলি বন্টন করা হয়নি তা তিনি জানেন না। তবে এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে মামলা চলছে বলে তিনি জানান। ফলে কার দোষে, কী কারণে সেগুলি বন্টন করা হল না, সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mosquito net warehouse
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE