Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
National news

সাইকেল তাঁরই, কমিশনে বলে এলেন নেতাজি, কাল যাচ্ছেন রামগোপাল

‘সাইকেল’ প্রতীক কার হাতে থাকবে? লড়াই গড়িয়ে গেল নির্বাচন কমিশনের দরজায়। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দলের নির্বাচনী প্রতীক নিজের দখলে রাখার দাবি পেশ করে এলেন মুলায়ম সিংহ যাদব।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসছেন মুলায়ম সিংহ যাদব। ছবি: পিটিআই।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসছেন মুলায়ম সিংহ যাদব। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৭ ২০:৫২
Share: Save:

‘সাইকেল’ প্রতীক কার হাতে থাকবে? লড়াই গড়িয়ে গেল নির্বাচন কমিশনের দরজায়। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দলের নির্বাচনী প্রতীক নিজের দখলে রাখার দাবি পেশ করে এলেন মুলায়ম সিংহ যাদব। মঙ্গলবার অখিলেশ শিবিরের তরফ থেকে একই দাবি জানাতে রামগোপাল যাদব যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনে।

১ জানুয়ারি অখিলেশ যাদব-রামগোপাল যাদবরা সপার জাতীয় কর্মসমিতির যে অধিবেশন ডেকেছিলেন, সেখানে ২০০-রও বেশি সপা বিধায়ক, অধিকাংশ বিধান পরিষদ সদস্য এবং অধিকাংশ সাংসদ হাজির ছিলেন। সেই অধিবেশনেই মুলায়মকে দলের মার্গদর্শক পদে পাঠিয়ে অখিলেশকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়। শিবপাল সিংহ যাদবকে দলের উত্তরপ্রদেশ শাখার সভাপতি পদ থেকে অপসারণের এবং অমর সিংহকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও সেই অধিবেশনেই পাশ করানো হয়। কিন্তু মুলায়ম নিজের অনুগামীদের নিয়ে পাল্টা বৈঠক ডেকে অখিলেশ-রামগোপালদের অধিবেশনকে অবৈধ ঘোষণা করেন। রামগোপালকে ফের দল থেকে বহিষ্কার করেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার ‘অপরাধে’ দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি কিরণময় নন্দকে এবং অধিবেশনে উপস্থিত থাকার ‘অপরাধে’ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নরেশ অগ্রবালকেও বহিষ্কার করেন।

অখিলেশ শিবির অবশ্য চুপ করে বসে ছিল না। শিবপালকে সরিয়ে নরেশ উত্তমকে সপার প্রদেশ সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছিল। রবিবার সন্ধ্যায় অখিলেশ অনুগামীরা সপা সদর দফতরের দখল নেওয়ার পর নরেশ উত্তম সেখানে পৌঁছন এবং প্রদেশ সভাপতি হিসেবে কার্যভার নেন। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠে যায়, দলের দখল, দফতরের দখল এবং প্রতীকের দখল কার হাতে থাকবে। অখিলেশ শিবিরের তরফে জানানো হয়, দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপ্রতিনিধি এবং সাংগঠনিক পদাধিকারী তাঁদের দিকে। সুতরাং ‘সাইকেল’ প্রতীক তাঁদের হাতেই থাকবে। মুলায়মও পাল্টা দাবি করেন, সমাজবাদী পার্টি তিনি নিজের হাতে গড়েছেন, ‘সাইকেল’ প্রতীকে এক মাত্র তাঁরই অধিকার রয়েছে। তবে প্রতীক দখলে রাখার লড়াইতে তিনি যে ইতিমধ্যেই ব্যাকফুটে, তা বুঝতে মুলায়মের সময় লাগেনি। তাই রবিবারের রাত পোহাতেই লখনউ ছেড়ে তিনি তড়িঘড়ি দিল্লি গিয়েছেন। ৫ জানুয়ারি দলের জাতীয় কর্মসমিতির অধিবেশন ডেকেছিলেন মুলায়ম। কিন্তু সে অধিবেশনে যে তেমন সাড়া পড়বে না, তা সম্ভবত নেতাজি বুঝে গিয়েছেন। প্রতীক নিয়ে যে টানাপড়েন শুরু হয়েছে, তার ফয়সলার জন্য তিনি যদি অবিলম্বে উদ্যোগী না হন, তা হলে যে ‘সাইকেল’টা নাগালের আরও বাইরে চলে যাবে, সে কথাও মুলায়মের কাছে স্পষ্ট। তাই ৫ জানুয়ারির অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করে দিয়ে তিনি এ দিন সকালে দিল্লি চলে যান। সেখানে নিজের বাসভবনে শিবপাল সিংহ যাদব, অমর সিংহ এবং জয়া প্রদার সঙ্গে মুলায়ম বৈঠক করেন। তার পর তাঁদের সঙ্গে নিয়েই মুলায়ম নির্বাচন কমিশনে যান। প্রায় ঘণ্টাখানেক মুলায়মরা কমিশনে বৈঠক করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

অন্য দিকে অখিলেশ শিবিরও নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজেদের বক্তব্য পেশ করার জন্য সময় চেয়েছে। আগামিকালই তাঁদের সময় দিয়েছে কমিশন। মঙ্গলবার রামগোপাল যাদব কমিশনে যাবেন এবং দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যে অখিলেশের সঙ্গে রয়েছে, তার প্রমাণ দিয়ে আসবেন বলে জানা গিয়েছে। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই প্রতীক সংক্রান্ত টানাপড়েন মিটিয়ে ফেলতে চাইছে সপার দুই শিবিরই।

আরও পড়ুন: ‘এত বড় সমাবেশ কখনও দেখিনি, বোঝাই যাচ্ছে এক মাত্র বিকল্প বিজেপি’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE