প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তাঁর দলেরই সাংসদ নানা পাটোলে। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের কাছে নানার অভিযোগ, মোদী কোনও প্রশ্ন শুনতেই চান না!
মহারাষ্ট্রের এই সাংসদের অভিযোগ, সম্প্রতি এক সংসদীয় অধিবেশনে তিনি অনগ্রসর শ্রেণি, দেশ জুড়ে কৃষক আত্মহত্যা, পরিবেশরক্ষা সংক্রান্ত করের মতো বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন করতেই খেপে যান মোদী। তাঁকে ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। নানা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতেই পাল্টা প্রশ্ন ছোড়েন তিনি। জিজ্ঞাসা করেন— দলের মুখপত্র ঠিক করে পড়েছি কিনা। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বিষয় নিয়ে কতটা জানি ইত্যাদি।’’ তাঁর অভিযোগ, সাংসদদের সঙ্গে মোদী প্রায়ই বৈঠক করেন বটে। কিন্তু সেখানে তাঁকে কেউ প্রশ্ন করলে, বা সরকারি নীতির সমালোচনা করলেই খেপে যান প্রধানমন্ত্রী।
মোদীর সঙ্গে নানার সম্পর্ক যে তেমন মধুর নয়, বিভিন্ন সূত্রে এমনটা আগেও শোনা গিয়েছিল। আগেও দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে তাঁকে তিরস্কারও করেছেন মোদী। তবে শুক্রবার নানার খোলাখুলি বিস্ফোরক মন্তব্য সেই আগুনে আরও ঘি ঢালবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসকেও রেয়াত করেননি নানা। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, সংসদের অধিবেশনের আগে সাংসদদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক করাটাই দস্তুর। ইদানীং সেই বৈঠকের পাট চুকিয়ে দিয়েছেন ফডণবীস। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে নানা বলেন, ‘‘রাজ্যের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে তহবিল আনতে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী। কর-সহ বিভিন্ন খাতে দেশের কোষাগারে মহারাষ্ট্রের অবদান অনেক বেশি হলেও রাজ্যকে দেখছে না কেন্দ্র।’’