Advertisement
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মোদী-অমিত জমানায় গুজরাতে ‘ভুয়ো’ সংঘর্ষ ফের সিঁদুরে মেঘ!

যে ২২টি মামলা নিয়ে তদন্ত, সেগুলি ২০০২ থেকে ২০০৬-এর মধ্যেকার। অর্থাৎ যে সময়ে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী এবং অনেকখানি সময় জুড়ে অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই সোহরাবুদ্দিন মামলায় অমিতের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে। ইশরাত জহান মামলা নিয়েও বিতর্ক মেটেনি।

নরেন্দ্র মোদী, তুষার মেহতা ও অমিত শাহ।

নরেন্দ্র মোদী, তুষার মেহতা ও অমিত শাহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:১৭
Share: Save:

প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন সলিসিটর জেনারেল। তাঁর দাবি, কোনও ভাবেই গুজরাতের ২২টি ‘ভুয়ো’ সংঘর্ষের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হতে দেওয়া যাবে না।

যে ২২টি মামলা নিয়ে তদন্ত, সেগুলি ২০০২ থেকে ২০০৬-এর মধ্যেকার। অর্থাৎ যে সময়ে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী এবং অনেকখানি সময় জুড়ে অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই সোহরাবুদ্দিন মামলায় অমিতের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে। ইশরাত জহান মামলা নিয়েও বিতর্ক মেটেনি।

মোদী জমানায় কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী হিসেবে দিল্লিতে আসার আগে তুষার মেহতা গুজরাত সরকারেরই আইনজীবী ছিলেন। ফলে ‘ভুয়ো’ সংঘর্ষ সংক্রান্ত মামলাগুলি মেহতার বিলক্ষণ জানা। কিন্তু সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসা ঠেকানোর জন্য কেন তিনি ব্যস্ত হয়ে উঠলেন, তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা চলছে। বিরোধী শিবির থেকে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি কোনও অপ্রিয় সত্য বেরিয়ে পড়ার ভয় পাচ্ছেন তিনি?

প্রাক্তন বিচারপতি এইচ এস বেদীর ওই রিপোর্ট এ দিন শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট অন্য আইনজীবীদের হাতে তুলে দেয়নি। কিন্তু প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ গুজরাত সরকারকে এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলেছেন, কেন ওই রিপোর্ট মামলাকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন: ঘর থেকেই গেল ৩৬ টাকা!

২০০৭ সালে গুজরাতে ২২টি ‘ভুয়ো’ সংঘর্ষের অভিযোগ ঘিরে সিবিআই বা এসআইটি তদন্তের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক বি জি ভার্গিস ও গীতিকার জাভেদ আখতার। সুপ্রিম কোর্ট তখন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম বি শাহের নেতৃত্বে এ নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করে। পরে কমিটির নেতৃত্বে আসেন বিচারপতি বেদী। চলতি বছরের গোড়ায় তাঁর রিপোর্ট জমা দেন তিনি। সোহরাবুদ্দিন-তুলসীরাম প্রজাপতি-ইশরাত হত্যার তদন্ত অবশ্য এই রিপোর্টের অন্তর্গত নয়। কারণ সেগুলিতে আগে থেকেই সিবিআই বা এসআইটি তদন্ত চলছিল।

আজ প্রধান বিচারপতি প্রথমেই বলেন, ‘‘বহু বছর ধরে এই মামলা ঝুলে রয়েছে। আমাদের মেটাতে হবে হবে এটা। আর কবে করব?’’ জাভেদ ও ভার্গিসের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ও নিত্যা রামকৃষ্ণন সঙ্গে সঙ্গে দাবি তোলেন, তাঁদের তদন্ত রিপোর্টের কপি দেওয়া হোক।

তখনই মাঠে নামেন সলিসিটর জেনারেল। তিনি বলেন, এখনই রিপোর্টের কপি অন্য কাউকে দেওয়া ঠিক হবে না। কারণ তাঁর ‘গুরুতর’ কিছু কথা বলার রয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘ঠিক আছে, বলুন।’’ তাতে মেহতা বলেন, তিনি যা বলার হলফনামা দিয়ে বলতে চান। এর পরে তিনি দাবি তোলেন, জানুয়ারি মাসে শুনানি হোক। কিন্তু প্রধান বিচারপতি নিজের অবস্থানে অনড় থেকে জানিয়ে দেন, আগামী ১২ ডিসেম্বরই শুনানি হবে।

ভার্গিসদের আবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ‘ভুয়ো’ সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে গুজরাতে কাজ করতে যাওয়া ভিন্‌ রাজ্যের শ্রমিকরাও ছিলেন। বয়স ২২ থেকে ৩৭-এর মধ্যে। তাঁদের মৃত্যুসংবাদ পরিবারকে জানানো হয়েছিল কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পুলিশের অভিযোগ ছিল, নিহতরা লস্কর বা জইশ সদস্য এবং তারা মোদীকে মারতে চায়।

অন্য বিষয়গুলি:

Fake Encounter Gujrat Narendra Modi Amit Shah Tusher Mehta
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy