Advertisement
৩০ মার্চ ২০২৩

অত কথায় কাজ নেই, বুঝলেন নরেন্দ্র মোদী

কিন্তু মোদীই বা কী করেন? আজ রেডিওয় ‘মন কি বাত’-এ নিজেই বললেন, ‘‘তিন বছর ধরে অভিযোগ আসছে, ১৫ অগস্টের বক্তৃতা একটু লম্বা হচ্ছে। এ বার ভেবেছি ছোট করব। খুব বেশি হলে ৪০-৪৫-৫০ মিনিট।’’ বললেন বটে, কিন্তু ‘মিত্রোঁ’ আহ্বানে ‘অচ্ছে দিন’ কিংবা নোট বাতিলের ঘোষণা করা নাটকীয় গলা এ বার যেন কিঞ্চিৎ অ-মোদীসুলভ সংশয়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩২
Share: Save:

‘কত কথা হল বলা...।’ অন্তত নরেন্দ্র মোদী তা বিলক্ষণ জানেন। গত তিনটি ১৫ অগস্টে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার দৈর্ঘ্য ছিল যথাক্রমে ১ ঘণ্টা ৫ মিনিট, ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট, ১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।

Advertisement

‘কত কথা তবু বাকি...!’

কিন্তু মোদীই বা কী করেন? আজ রেডিওয় ‘মন কি বাত’-এ নিজেই বললেন, ‘‘তিন বছর ধরে অভিযোগ আসছে, ১৫ অগস্টের বক্তৃতা একটু লম্বা হচ্ছে। এ বার ভেবেছি ছোট করব। খুব বেশি হলে ৪০-৪৫-৫০ মিনিট।’’ বললেন বটে, কিন্তু ‘মিত্রোঁ’ আহ্বানে ‘অচ্ছে দিন’ কিংবা নোট বাতিলের ঘোষণা করা নাটকীয় গলা এ বার যেন কিঞ্চিৎ অ-মোদীসুলভ সংশয়ে। কারণ শেষ পর্যন্ত ৪০-৫০ মিনিটে নিজেকে বাঁধতে পারবেন কি না, নিশ্চিত নন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘‘চেষ্টা তো করছি। দেখি সফল হই কি না।’’

আরও পড়ুন: দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে জিএসটি, মন কি বাতে মোদী

Advertisement

সাম্প্রতিক অতীতে তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে বিরোধীরা একশো ভাগ একমত হয়েছেন, এমন অভিযোগ নেই। কিন্তু আজ ‘মন কি বাত’ শেষ হতেই কংগ্রেস বলেছে, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা একমত। তাঁর বক্তৃতা শুধু দীর্ঘ নয়, অপ্রাসঙ্গিক। মোদী বুঝতে পারছেন, তাঁর ‘আত্মকথনে’ আগ্রহ হারাচ্ছে জনতা। মানুষের আসল প্রশ্নের জবাব গত তিন বছরে দেননি তিনি। জনতা এ বার তাঁকে জবাব দেবে।’’

বিরোধীদের দাবি, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জিএসটির বিরোধিতা করা মোদীই আজ এই কর ব্যবস্থার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এমন উদাহরণ আরও আছে। আসলে মোদী বলছেন বেশি, কাজ করছেন কম। আর যা করছেন, তা বলছেন না! বিহারে জনমতকে অগ্রাহ্য করে সরকারে ঢুকে পড়া, পানামা কাণ্ডে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের ইস্তফার দাবি, কিংবা গুজরাতে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ— এ সব নিয়ে আজ কোথায় মুখ খুললেন তিনি?

আজ মোদী রেডিওয় বলেছেন, ৯ অগস্ট ‘ভারত-ছাড়ো’ আন্দোলনকে সামনে রেখে ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছরের উৎসব পর্যন্ত সঙ্কল্প নিতে হবে। বলেছেন, ‘‘আবর্জনা, দারিদ্র, দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ, জাতিভেদ, সাম্প্রদায়িকতা ভারত ছাড়ো।’’ কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারির প্রশ্ন, ‘‘স্বাধীনতা আন্দোলনে আরএসএস কোথায় ছিল? গুজরাতে বিধায়ক কেনার টাকা আসছে কোথা থেকে? কম কথা বলেও তো আসল প্রশ্নের জবাব দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.