নরেন্দ্র মোদীর আবেদনে সাড়া দিয়ে রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি ছেড়েছিলেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ। এখন তাঁদের মধ্যে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ফের ভর্তুকি নিতে চাইছেন। চিন্তার ভাঁজ মোদী সরকারের কপালে।
স্বেচ্ছায় গ্যাসের ভর্তুকি ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে মোদী সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ওই টাকায় গরিবদের নিখরচায় রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হবে। ২০১৯ পর্যন্ত ৫ কোটি গরিব মানুষের হেঁশেলে গ্যাস পৌঁছনোর লক্ষ্যে ‘উজ্জ্বলা’ প্রকল্প চালু করেছে সরকার। গত এক বছরে ২ কোটি পরিবার তার সুবিধাও পেয়েছে। এই প্রকল্প উত্তরপ্রদেশের ভোটে তাঁদের অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে বলেও মনে করেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু যাঁরা ভর্তুকি ছেড়েছেন, তাঁরা যদি ফের তা নিতে শুরু করেন, তা হলে ‘উজ্জ্বলা’-র ভবিষ্যৎ অন্ধকার হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকে অবশ্য গত মাস থেকেই আশঙ্কা ঘনিয়েছিল। মার্চের শুরুতে সিলিন্ডারের দাম এক ধাক্কায় ৮৬ টাকা বেড়ে যায়। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছিল ৬৬ টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ধাপে ধাপে ২৭১ টাকা দাম বাড়ায় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের কর্তারা বলছিলেন, নরেন্দ্র মোদীর ‘গিভ ইট আপ’ আহ্বানে সাড়া দিয়ে যারা ভর্তুকি ছেড়েছিলেন, তারা ফের ভর্তুকি চাইতে পারেন। কারণ এক বছর পরে ভর্তুকি নেওয়ার সুযোগ সরকারই খুলে দিয়েছিল। তা ছাড়া শুধু ধনীরাই যে ভর্তুকি ছেড়েছিলেন, তা নয়। অনেক অবসরপ্রাপ্ত দম্পতিও মোদীর আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলেন। ফলে রান্নার গ্যাসের বাজারদর বাড়লে তাদের ভর্তুকির প্রয়োজন হতেই পারে।
আরও পড়ুন: রিজ-কাণ্ডে প্রশ্ন চার্জশিট নিয়ে
হয়েছেও তাই। এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ফের ভর্তুকি নিয়েছেন। সংখ্যাটা ধাপে ধাপে বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিজেপি নেতারা বলছেন, এর দু’টি বিপদ। এক, এর ভুল রাজনৈতিক ব্যাখ্যা হতে পারে যে মানুষ আর মোদীর কথায় কান দিচ্ছেন না। দুই, এর ফলে উজ্জ্বলা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। অথচ উত্তরপ্রদেশের পরে অন্য রাজ্যেও উজ্জ্বলার জয়গান গাওয়া হচ্ছে। মহিলাদের ভোট টানার চেষ্টা হচ্ছে। মোদী বলেছিলেন, এক ঘণ্টা কাঠকয়লার উনুনে রান্না করার অর্থ মহিলাদের শরীরে ৪০০ সিগারেটের ধোঁয়া ঢোকা। তা বন্ধ করতেই যে উজ্জ্বলা যোজনা, তা বোঝানো হচ্ছে। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান
অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘মানুষ ভর্তুকি ফেরত চাইলেও উজ্জ্বলা প্রকল্পে সমস্যা হবে না।’’ তিনি জানান, সাশ্রয়ের থেকে বেশিই উজ্জ্বলা-তে খরচ হয়েছে। যত জন ভর্তুকি ছেড়েছেন, তার থেকে বেশি পরিবারে নিখরচায় রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy