২০২২-এর পরে ২০২৫।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে জেতার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ থেকে বেরিয়েছিল এক নতুন শব্দগুচ্ছ— ২০২২ সাল। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেই ২০২২ সালেই সরকারের অনেক কাজ পূর্ণ করার লক্ষ্য রেখেছে মোদী সরকার। যেটি আদপে তাঁর করার কথা ক্ষমতায় আসার পাঁচ বছর— অর্থাৎ, ২০১৯ সালের মধ্যে। মোদী অবশ্য আজও বলেছেন ২০২২ সালের কথা। কিন্তু এর পাশাপাশি মোদীর মুখ থেকে বেরিয়েছে তারও তিন বছর পরের একটি পরিকল্পনার কথা। অর্থাৎ, ২০২৫ সাল।
আজ সর্দার বল্লভভাই পটেলের জন্মবার্ষিকী। সেই উপলক্ষে সকালে দিল্লির একটি স্টেডিয়াম থেকে ‘একতার জন্য দৌড়’ শুরু করান প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই মোদী বলেন, ‘‘আট বছর পরে সর্দার পটেলের দেড়শো-তম জন্মবার্ষিকী। ওই সময়ে দেশের একতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আমাদের। সর্দার পটেল দেশে ঐক্যের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, প্রতিটি মানুষের ভিতরে সেই ভাবনাকে কী ভাবে জোরালো করা যায়, সেই সঙ্কল্প নিয়ে চলতে হবে।’’ মোদীর কথায়, ‘‘সর্দার পটেলের অবদানের কথা মনে রেখে দেশের একতা ও অখন্ডতা বজায় রাখা ১২৫ কোটি দেশবাসীর দায়িত্ব। অনেকে যখন হিংসায় মত্ত, ভারতই তখন দেখাতে পারে, কী ভাবে বিবিধের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখা যায়।’’
মোদীর মুখে এই নতুন সময়সীমা শুনে কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, ক্ষমতার সাড়ে তিন বছর কাটিয়ে দিয়েও প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি। পাঁচ বছরের জন্য জিতে এসেছেন। কিন্তু জনমতের বাইরে গিয়ে কাজ করার লক্ষ্য স্থির করছেন ২০২২-এ। ধরেই নিয়েছেন ২০১৯ সালের ভোটে তিনিই জিতছেন। আর এর পর আজ যা বললেন, তা তো পরের সরকারেরও মেয়াদেরও বাইরে। ২০১৯ সালে ভোট হলে তার পরের ৫ বছর শেষ হবে ২০২৪ সালে। আর প্রধানমন্ত্রী এখন ঐক্য স্থাপনের কথা বলছেন ২০২৫ সালে। নিজেরই গোলপোস্ট নিজেই বদলে যাচ্ছেন নিরন্তর। জনমত ছাড়াই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy