ফাইল চিত্র।
বছর দুয়েক আগে জিএসটি নিয়ে আলোচনা করতে নিজের বাসভবনে সনিয়া গাঁধী এবং মনমোহন সিংহকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরে সুষমা স্বরাজ গিয়েছিলেন ১০ জনপথে। এ বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সনিয়ার কাছে দুই শীর্ষমন্ত্রীকে পাঠাচ্ছেন মোদী।
বিরোধীদের সঙ্গে কথা না বলার অভিযোগ বারবারই ওঠে মোদীর বিরুদ্ধে। কিন্তু আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে বৈঠক করেন রাজনাথ সিংহ এবং বেঙ্কাইয়া নায়ডুর সঙ্গে। তার পরেই এই দুই নেতা শুক্রবার দেখা করতে চান সনিয়ার সঙ্গে। ফোন যায় সীতারাম ইয়েচুরি, প্রফুল্ল পটেল, সতীশ মিশ্রদের কাছেও। ঠিক রয়েছে, বিদেশ থেকে ফিরে নীতীশ কুমারের সঙ্গে কথা বলবেন অরুণ জেটলি।
বিকেলে বিরোধীদের বৈঠক বসে সংসদ চত্বরে। তারা ঠিক করে রেখেছে, প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সরকার প্রার্থী না করলে গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর নামই প্রাথমিক ভাবে তোলা হবে। কিন্তু বিজেপি যখন একার জোরেই নিজের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে পারে, তখন মোদী কেন ঐকমত্যের পথে হাঁটছেন— তা নিয়ে চলছে জল্পনা।
অনেকের মতে, কৃষক বিক্ষোভের মতো কয়েকটি বিষয়ে ইদানীং কিছুটা কোণঠাসা মোদী। তাই সনিয়ার কাছে দূত পাঠানোটা তাঁর তরফে নরম হওয়ার বার্তা হতেই পারে। যদিও কেউ কেউ এ-ও ভাবছেন, সনিয়াকে গুরুত্ব দিয়ে আসলে বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরাতে চাইছেন মোদী। প্রথম দফায় শুধুমাত্র চারটি দলের সঙ্গে কথা বলার মধ্যেও বিভাজনের রাজনীতি আছে কি না— সেই প্রশ্নও উঠছে। চিন্তা রয়েছে নীতীশকে নিয়েও। গত কালই বেঙ্কাইয়া বলেছেন, ‘‘বিরোধীদের অনেকেই ভোটাভুটি চান না।’’ কাজেই এ-ও হতে পারে, বিরোধীদের কথাবার্তা যেটুকু এগিয়েছে, মোদী সেটাই গুলিয়ে দিতে চাইছেন সরকারের তরফে আলোচনার বার্তা দিয়ে।
এক বিরোধী নেতার আবার প্রশ্ন, বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বিজেপির কমিটিতে সুষমা কেন নেই? তবে কি সুষমাকে প্রার্থী করতে চাইছেন মোদী? সে ক্ষেত্রে সনিয়া বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রীদের পক্ষেও সুষমার বিরোধিতা করা কঠিন। ইয়েচুরি অবশ্য চান, বিষয়টিকে রাজনৈতিক লড়াই হিসেবে ধরে নিয়ে বিরোধীদের প্রার্থী দেওয়াই উচিত। কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ অবশ্য অপেক্ষার পক্ষপাতী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy