পঞ্চমবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে জ্যোতি বসু, পবন চামলিং, গেগং অপাংদের ছুঁয়ে ফেললেন নবীন পট্টনায়ক। সেই সঙ্গেই ঢুকে পড়লেন দেশের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রী থাকা রাজনীতিকদের তালিকায়। বুধবার ভুবনেশ্বরের বাইরে মুখ্যমন্ত্রী নবীনের সঙ্গেই শপথ নিয়েছেন ১১ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ৯ জন প্রতিমন্ত্রী। গত ১৯ বছর ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর জীবনের নানা মুহূর্ত নিয়ে তৈরি একটি মন্তাজও টুইটারে শেয়ার করেছেন ৭২ বছরের নবীন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওড়িশাবাসীকে। নবীনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রতিবার শপথ নিয়েছেন কার্যত অনাড়ম্বর ভাবে, রাজভবনের অন্দরে। কিন্তু এ বারের শপথগ্রহণ আক্ষরিক অর্থেই ঐতিহাসিক। সেই কারণেই এ বার শপথের মঞ্চ ভুবনেশ্বর রাজভবনের অলিন্দ ছাড়িয়ে চলে এসেছিল সামনের রাজপথে। আত্মীয় পরিজনদের পাশাপাশি রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি, কবি সাহিত্যিক-সহ প্রায় ৭ হাজার মানুষ দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ। শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল গণেশী লাল।
ওড়িশার প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে প্রথম বার ১৯৭৭ সালে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন সিপিএম নেতা জ্যোতি বসু। টানা পাঁচ বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ২০০০ সালে তাঁর চেয়ারে বসেন বুদ্ধদেব ভট্টচার্য। একই রেকর্ড রয়েছে পবন চামলিংয়েরও। ১৯৯৪ সালে সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বার সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী হন পবন। টানা ২০১৯ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। ওড়িশার মতোই সিকিমেও এ বার লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট এক সঙ্গে হয়েছে। তবে এ বার সিকিম ক্রান্তিকারী পার্টির চেয়ে মাত্র দু’টি আসন কম পেয়ে ষষ্ঠ বারের জন্য আর মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা হচ্ছে না পবনের। পাঁচ বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার নজির রয়েছে গেগং আপাংয়েরও। তবে টানা পাঁচ বার নয়। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৯ এবং ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দু’দফায় তিনিও পাঁচ বার অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বুধবার শপথ গ্রহণের সঙ্গেই নবীনও টানা পাঁচ বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার তালিকায় ঢুকে পড়লেন নবীন পট্টনায়কও।