রক্তের সঙ্কট মেটাতে নতুন ‘অ্যাপ’ চালু হল শিলচরে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্লাডমেট’। রক্তদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম এই ওয়েবভিত্তিক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। শিলচর এনআইটি-র ছাত্র ময়ূখ চক্রবর্তী ও সৌম্যদীপ সাহা এটি তৈরি করেন।
আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই অ্যাপ চালু করেন শিলচর মেডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজীব বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘জরুরি প্রয়োজনে এক ইউনিট রক্ত পেতে মানুষ প্রচণ্ড মুশকিলে পড়ে যান। অথচ রক্তদাতার অভাব নেই আমাদের চারপাশে। শুধু পারস্পরিক যোগাযোগ হয়ে ওঠে না। নতুন অ্যাপ এই কাজটিই করতে চাইছে।’’ তিনি জানান, আগ্রহী রক্তদাতারা এখানে নাম লেখাবেন। থাকবে ঠিকানা, ফোন নম্বর। যাঁর রক্তের প্রয়োজন, ওই অ্যাপ থেকে নাম-ঠিকানা দেখে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। এক বার রক্তদানের পর চার মাসের জন্য তাঁর নাম আর দাতার তালিকায় থাকবে না।
আজ ওয়েবসাইটে আগ্রহী রক্তদাতা হিসেবে প্রথম নাম লেখান শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষা শিল্পীরানি বর্মন। তিনি তাঁর ছাত্রদেরও এই অ্যাপে নাম লেখাতে বলেন। হাসপাতালের সুপার এএস বৈশ্য বলেন, ‘‘প্রায়ই মেডিক্যাল কলেজ ব্লাডব্যাঙ্কে রক্তের মজুত তলানিতে পৌঁছয়। তখন বেশ উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।’’ সে ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ সহায়ক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ময়ূখ ও সৌম্যদীপ বলেন, ‘‘সঙ্কটের সময় অনেকে আমাদের কাছে রক্তের জন্য যান। তাই আমরা ভাবছিলাম, এমন একটা কিছু তৈরি করতে যাতে আমাদের কাছে ছোটার প্রয়োজন না হয়। তাঁরা নিজেরাই আগ্রহী দাতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’’ সেখান থেকেই ব্লাডমেট। সোসাইটি ফর প্যাথোলজিই এখন এর নোডাল এজেন্সি— জানান ওই দুই পড়ুয়া। এ দিকে, একই অনুষ্ঠানে কেশব স্মারক সংস্কৃতি সুরভি অন্ধত্ব ও চক্ষুদান নিয়ে এক আলোচনার আয়োজন করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy