পুরনো কমিটি ভেঙে ব্লক কংগ্রেসের নতুন কমিটি গঠন করা হল কালাইন, কাটিগড়া, সোনাই ও বড়জালেঙ্গায়। আপাতত শুধু ব্লক কংগ্রেসের সভাপতির নাম ঘোষণা করা হলেও ব্যতিক্রম শিলচর। বিক্ষোভের আশঙ্কায় সেখানে শহর কংগ্রেস কমিটিতে একই সঙ্গে সভাপতি ও কার্যকরী সভাপতি পদে যথাক্রমে অমিত চক্রবর্তী ও সজল বণিককে মনোনীত করা হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনে দলের বিপর্যয়ের পর কাছাড় জেলায় কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব অনেকটাই কমে এসেছে। প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায় এখন আর কাছাড়ের সংগঠন নিয়ে কথা বলেন না। শিলচরে বীথিকা দেবকে দাঁড় করানোয় যাঁরা এক সময় সুস্মিতাদেবীর বিরুদ্ধাচরণ করেছিলেন, সরকার বদলের পর তাঁরাও ঝিমিয়ে পড়েছেন। তার পরও ঝুঁকি নিতে পারেননি সুস্মিতা দেব, কর্ণেন্দু ভট্টাচার্যরা।
বিধানসভা ভোটের টিকিট নিয়ে মতবিরোধের পর শিলচর শহর কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পদে শৈবাল দত্ত ইস্তফা দিলে ওই পদের জন্য নিজেদের তৈরি করছিলেন অতনু ভট্টাচার্য ও সজল বণিক। দু’জনই সুস্মিতাদেবীর ঘনিষ্ঠ। তাই কাউকে না চটিয়ে কৌশলে সুস্মিতাদেবী সামনে নিয়ে আসেন অমিত চক্রবর্তীকে। বছর দুয়েক আগে তিনি সরকারি স্কুলের প্রধানশিক্ষক পদ থেকে অবসরও নিয়েছেন। অমিতবাবুকে নিযুক্তির প্রধান কারণ, তিনি অতনু ভট্টাচার্যের মামা। তাঁকে সভাপতি করা হলে ভাগ্নে দাবি থেকে সরে আসবেন। আর প্রবীণ অমিতবাবুর সঙ্গে কার্যকরী সভাপতি হিসেবে কাজ করতে সজল বণিকেরও আপত্তি থাকবে না।