Advertisement
০২ মে ২০২৪
Himachal Pradesh Crisis

‘আরও ন’জন যোগাযোগ রাখছে’! হিমাচল কংগ্রেসে আরও ভাঙনের ইঙ্গিত এক বিদ্রোহী বিধায়কের

সম্প্রতি হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু দাবি করেছিলেন যে, বিদ্রোহী বিধায়কদের কেউ কেউ ফিরতে চাইছেন। সুখুর এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন রাজেন্দ্র। বলেছেন, “কেউ ফিরতে চাইছে না।

Nine more MLAs in touch with us, claimed by disqualified Himachal Congress MLA

হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৪ ১৯:৫৩
Share: Save:

হিমাচলে কংগ্রেসের অন্দরে আরও ভাঙনের সম্ভাবনা উস্কে দিলেন কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়কদের ‘নেতা’ রাজেন্দ্র রানা। শনিবার তিনি জানিয়েছেন, দলের আরও ৯ জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন। সম্প্রতি কংগ্রেসশাসিত হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু দাবি করেছিলেন যে, বিদ্রোহী বিধায়কদের কেউ কেউ ফিরতে চাইছেন। সুখুর এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন রাজেন্দ্র। বলেছেন, “কেউ ফিরতে চাইছে না। অন্তত ৯ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।”

দলীয় হুইপ অমান্য করে বুধবার রাজ্য বিধানসভায় সরকারের বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের পক্ষে ভোট না-দেওয়ার কারণে কংগ্রেসের বিদ্রোহী ছয় বিধায়কের পদ খারিজ করেন সে রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিংহ পঠানিয়া। ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনে’ তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হচ্ছে। বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে ইতিমধ্যেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হিমাচল প্রদেশের বিদ্রোহী ওই ছয় কংগ্রেস নেতা। সুজনপুরের বিধায়ক রাজেন্দ্র রানা ছাড়াও পদ খারিজ হওয়া বিধায়কেরা হলেন, রবি ঠাকুর (লাহুল-স্পিতি), সুধীর শর্মা (ধরমশালা), ইন্দ্রদত্ত লক্ষণপাল (বারসার), চৈতন্য শর্মা (গগরেট), দেবেন্দ্র ভুট্টো (কুটলেহা)। গত মঙ্গলবার তাঁরা হিমাচলের একটি রাজ্যসভা আসনের জন্য ভোটাভুটির সময় বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজনের সমর্থনে ‘ক্রস ভোটিং’ করেছিলেন। এর পর বুধবার দলীয় হুইপ অমান্য করে বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের ভোটাভুটি থেকে বিরত ছিলেন। কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে যাবতীয় পরিকল্পনা করেছিলেন রাজেন্দ্রই।

শনিবারই বিদ্রোহী ছয় বিধায়ককে ‘কাল সাপ’ বলে কটাক্ষ করেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী। সুখুর অভিযোগ, কংগ্রেসের ওই ছয় বিধায়ক নিজের সম্মান বিক্রি করেছেন। দরিদ্র মানুষের জন্য তৈরি বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের পক্ষে ভোট না দিয়ে সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। সুখু বলেন, ‘‘যে সব বিধায়ক অর্থের জন্য নিজেদের সম্মান বিক্রি করে তাঁরা কী ভাবে তাঁদের এলাকার মানুষের সেবা করতে পারেন! যাঁরা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, রাজনীতিতে তাঁদের কালসাপ বলা হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

himachal pradesh Congress Rebel MLAs
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE