—ফাইল চিত্র
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে হিন্দুদের সঙ্গে খ্রিস্টানদের কথাও উল্লেখ রয়েছে। মিজোরাম, মেঘালয়ের মতো বিভিন্ন রাজ্যে খ্রিস্টানদের এই আইনের বিরোধিতা করতেই দেখা গিয়েছিল। অসমে বরাক উপত্যকার খ্রিস্টানরা না এর পক্ষে রয়েছেন, না বিপক্ষে। আজ বড়দিনে তাঁরা বিশেষ প্রার্থনা-সহ নানা অনুষ্ঠানে শামিল হলেও কোথাও সিএএ নিয়ে কোনও চর্চা নেই। অসমের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বড়দিনের উৎসবে কিন্ত মিলল সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের আবহ। বিভিন্ন জেলায়, গির্জায় যিশুর উদ্দেশে প্রার্থনার পরে সিএএ বাতিল করা ও রাজ্যে শান্তি ফিরে আসার কামনায় প্রার্থনা করা হয়।
শিলচর প্রেসবেটিরিয়ান চার্চের প্যাস্টর রেভারেন্ড বি জোবিয়াক্ত লোয়াঙ্গা বললেন, ‘‘নাগরিকত্ব বিল বা আইন নিয়ে এখানকার খ্রিস্টানরা মাথা ঘামান না।’’ একই কথা বললেন পেইতে সাকাচেপ, তমসা আহমেদও। সেটেলমেন্ট কর্মী সাকাচেপ বাঙালিকে বিয়ে করেছেন। তবু তাঁর মধ্যে সিএএ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। তমসা বললেন, ‘‘খ্রিস্টানদের ক’জনের আর এই আইনে নাগরিকত্বের প্রয়োজন! তাই তাঁরা এ সব নিয়ে ভাবেন না।’’
শিলচরের এক বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ জেকব আহমেদ জানান, এখানে খ্রিস্টানদের কেউ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন না বটে, কিন্তু উচ্ছ্বাসেরও কারণ নেই। কোনও খ্রিস্টানের এই আইনের সুবিধা নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। বরং হিন্দু বাঙালিরা এর সুবিধা নিয়ে মিজোরাম, মেঘালয়ের মতো রাজ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যালঘু করে দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই আশঙ্কাতেই খ্রিস্টান অধ্যুষিত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়েছিল। ইনার লাইন পারমিট ভুক্ত রাজ্যগুলোতে এই আইন কার্যকর হবে না বলে ঘোষণা করে কেন্দ্র তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy