নতুন বছরের শুরু থেকেই আমিষ পদে কোপ পড়তে চলেছে এয়ার ইন্ডিয়ার স্বল্প দূরত্বের উড়ানে। এক নির্দেশিকায় এই খবর জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি। এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রের খবর, এক থেকে দেড় ঘণ্টার পথ যে সব বিমান পাড়ি দেয়, তার ইকনমি ক্লাসের যাত্রীদের জন্যই এই নয়া নিয়ম। এখনও পর্যন্ত ওই সব উড়ানে আমিষ ও নিরামিষ স্যান্ডউইচ— যাত্রীদের পাতে পড়ে দু’রকমই। সঙ্গে থাকে চা, কফি ও আরও কিছু ঠান্ডা জলখাবারের বন্দোবস্ত। ক্ষতিতে চলা এয়ার ইন্ডিয়ার নতুন ফরমানে চা-কফিও বাদ পড়তে চলেছে বলে শোনা যাচ্ছে। আর এ সবের বদলে চালু হবে পুরোপুরি নিরামিষ গরম খাবার।
বছরের প্রথম দিন থেকেই এমন চমকে অবশ্য চটেছেন যাত্রীদের অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এ নিয়ে। কারণ দেশের মেট্রো শহর বাদে অন্য শহরগুলির মধ্যে যাতায়াতের জন্য অল্প দূরত্বের বিমানই ওঠানামা করে বেশি। এই হঠাৎ সিদ্ধান্তে অখুশি জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও। ‘‘কেন এই সিদ্ধান্ত বোঝার খুব চেষ্টা করছি, কিন্তু বুঝতে পারছি না একটুও’’— টুইটারে লিখেছেন তিনি।
এয়ার ইন্ডিয়ার যদিও দাবি, এই অভিযোগ পুরোপুরি সত্যি নয়। সরকার পরিচালিত এই সংস্থার সিএমডি অশ্বিনী লোহানি জানিয়েছেন, দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত যাত্রাপথে কোনও দিনই আমিষ খাবার দেওয়া হতো না। ৯০ মিনিটের বেশি সময় যে যাত্রীরা বিমানে থাকেন, ওই বরাদ্দ শুধু তাঁদের জন্যই। লোহানির দাবি, কাটছাঁট নয়, তারা খাবারের পদে কিছু অদল-বদল করছেন মাত্র। বিমান প্রতিমন্ত্রী মহেশ শর্মার কথায়, ‘‘শীতের দিনে ঠান্ডা জলখাবারের বদলে কিছু গরম খাবারের আমদানি করা হচ্ছে। এতে এতটাও হইচইয়ের কোনও কারণ নেই।’’ তা ছাড়া, অল্প সময়ে নানা রকম পদের পরিবেশনের অসুবিধার কথাও তুলছেন এয়ার ইন্ডিয়ার অনেক অফিসার।
বিমান সংস্থা এত দিন যাত্রীদের শুধু নিরামিষ খাবারই দেওয়া হতো বলে যুক্তি দিলেও যাত্রীদের অনেকেই কিন্তু তা মানছেন না। খাদ্য তালিকায় এ রকম হঠাৎ রদ-বদলের পক্ষপাতী নন বিমান পরিবহণ বিশেষজ্ঞরাও। সমীক্ষা করে, যাত্রীদের মত নিয়ে তবেই এই পথে হাঁটা উচিত ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার, মত তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy