Advertisement
০৪ মে ২০২৪

ডিজিপি প্রশ্নে ক্ষুব্ধ অবিজেপি রাজ্যগুলি

রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিপি) নিয়োগের প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করায় দেশের বহু অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীই ক্ষুব্ধ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ০৪:৩৮
Share: Save:

রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিপি) নিয়োগের প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করায় দেশের বহু অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীই ক্ষুব্ধ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, ওড়িশা, এমনকি বিহার পর্যন্ত শীর্ষ আদালতের ওই নির্দেশের প্রতিবাদে মুখর হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে এ নিয়ে আপত্তি জানানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্যগুলি। মমতা আজ চন্দ্রবাবু নায়ডু, কে চন্দ্রশেখর রাও, নবীন পট্টনায়কের মতো বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করেন। ঠিক হয়েছে, দ্বিমুখী রণকৌশল নেওয়া হবে।

এক, রাজ্যের মুখ্যসচিবরা কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে জানাবেন ডিজিপি নিয়োগের ক্ষেত্রে এ যাবৎ কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সাংবিধানিক ভাবে স্বীকৃতি পেয়ে এসেছে, তা বদলানো উচিত নয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাবে রাজ্যগুলি।

দুই, সুপ্রিম কোটের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চের দ্বারস্থ হওয়ার রাস্তা খোলা রাখা হচ্ছে। কেন্দ্র যদি রাজ্যগুলির আবেদনে ইতিবাচক সাড়া না দেয়, তখন রাজ্যগুলি একজোটে সাংবিধানিক বেঞ্চে আবেদন জানাবে। তার জন্য দিল্লিতে বিভিন্ন রাজ্যের প্যানেলে থাকা আইনজীবীদের মধ্যে সমন্বয় রেখে এগনো হবে।

মমতা আজ রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে এ নিয়ে এক প্রস্ত কথা বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে কী ভাবে এগোনো যায়, তা খতিয়ে দেখতে বলা হবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকেও। এত দিন ডিজিপি ও মুখ্যসচিব নিয়োগের সময় কেন্দ্রের কাছে তিনটি নাম পাঠিয়ে এসেছে রাজ্য। তা থেকে একটি নাম বেছে নিয়ে রাজ্যকে জানিয়ে দিত কেন্দ্র। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজ্য তা মেনে নিলেও, কিছু ক্ষেত্রে রাজ্যের আপত্তিরও নজির রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ডিজি-নিয়োগে কেন্দ্র-রাজ্য বিবাদও হয়েছে। এমন ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রই।

গত কাল সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ডিজি পদে নিয়োগের জন্য সম্ভাব্য সমস্ত সিনিয়র অফিসারের নাম ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি)-এর কাছে পাঠাতে হবে। ইউপিএসসিই তা থেকে তিনটি নাম বেছে নেবে। যার ভিত্তিতে চূড়ান্ত নিয়োগ সেরে ফেলতে হবে রাজ্যকে। এতেই ক্ষুব্ধ অবিজেপি রাজ্যগুলি। তাদের মতে, কেন্দ্র-রাজ্য প্রশাসনিক দায়িত্ব ভাগাভাগির দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙে এই নির্দেশটি চাপিয়ে দেওয়া হল। ২০১৯ সালের লোকসভার আগে দেশ জুড়ে মোদী-বিরোধী হাওয়া প্রবল হচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে এ বার ডিজি নিয়োগের প্রশ্নেও একজোট হওয়ার সুযোগ পেলেন বিরোধীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE