Advertisement
E-Paper

জন্ম শংসাপত্রের নিয়ম বদল

নর্দমার সমস্যা হোক বা জন্মের প্রমাণপত্র অথবা পাসপোর্ট পেতে সমস্যা- যোরহাটবাসীর কাছে সমাধান যেন একটাই। দাও চিঠি ঠুকে একেবারে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। কারণ, অন্য দফতরে ঘুরে কাজ হয় না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৬ ০৩:৫১

নর্দমার সমস্যা হোক বা জন্মের প্রমাণপত্র অথবা পাসপোর্ট পেতে সমস্যা- যোরহাটবাসীর কাছে সমাধান যেন একটাই। দাও চিঠি ঠুকে একেবারে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। কারণ, অন্য দফতরে ঘুরে কাজ হয় না। নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠালে কাজ হয়েছে। যোরহাটের অঙ্কুর গুপ্তার চিঠির জেরে জন্মের শংসাপত্র পাওয়ার মান্ধাতাকালীন ব্যবস্থা বদলে গিয়েছে রাজ্যে।

যোরহাটের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির কমিশনার অঙ্কুরবাবুর চিঠি পেয়ে মোদী অবিলম্বে রাজ্যে অনলাইনে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন।

গত বছর নভেম্বরে অঙ্কুরবাবু জন্ম-মৃত্যুর প্রমাণপত্র পেতে সমস্যার কথা জানিয়ে মোদীর দফতরে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। নির্বাচনের আগে মোদী তাঁর দফতরকে নির্দেশ দেন, অসমের অভাব অভিযোগ নিয়ে আসা চিঠি ও স্মারকলিপি খতিয়ে দেখতে। তখনই বিষয়টি তাঁর দফতরের নজরে আসে। তার পর কয়েক দফা চিঠির পরে, অগস্ট মাসে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, রাজ্যে অনলাইনে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হবে। তার সফ্‌টঅয়্যারের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। কম্পিউটার, প্রিন্টার, মোডেম-সহ এই কাজে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো হাসপাতালগুলিতে রাখার জন্য জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। গুপ্তা জানান, এই বিষয়টি নিয়ে তিনি এর আগে ইউপিএ সরকারকে ও রাজ্য সরকারকে ২০১১ সাল থেকে চিঠি পাঠাচ্ছিলেন। কিন্তু মোদীর সৌজন্য যোরহাট ও ডিব্রুগড় মেডিক্যাল কলেজে অনলাইনে অনলাইনে জন্মের শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। শীঘ্রই সব জেলায় এই পদ্ধতি চালু হবে। অন্য দিকে, কাজিরাঙা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রশান্তকুমার বরদলৈ প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ জানান, জাতীয় সড়ক নির্মাণ কর্তৃপক্ষ জাতীয় সড়ক তৈরির পরে নিকাশির দিকে মোটেই নজর দিচ্ছে না। তাই নগাঁও থেকে উজানি অসম পর্যন্ত ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলাকালীন লাগোয়া খেত, চা বাগান ও জমি জলপ্রবাহে নষ্ট হচ্ছে। এ জন্য কালভার্টের উচ্চতা কমানো উচিত। নিকাশি ও নর্দমা তৈরিতে মন দেওয়া দরকার। তিনি জানান, চিঠি পাঠানোর পরেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের শীর্ষকর্তারা নির্মীয়মাণ সড়ক সরেজমিনে দেখেন ও রাস্তার দুই পাশেই নর্দমা তৈরিতে সম্মত হন। কালভার্টের নির্মাণও ঠিক করার আশ্বাস মেলে।

যোরহাটের পোস্ট অফিসের পোস্টাল এজেন্ট প্রদীপকুমার জৈন তাঁর নাবালিকা মেয়ের জন্য অনেক অপেক্ষার পরেও পাসপোর্ট পাচ্ছিলেন না। সেই সঙ্গে তিনি জানতে পারে পোস্ট অফিসগুলি পোস্ট ব্যাঙ্কে পরিণত করা হচ্ছে তাই এজেন্টদের কাজ থাকবে না। দু'টি বিষয় নিয়েই তিনি খোদ নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠান। প্রথম চিঠির জেরে ১০ দিনের মধ্যে তাঁর মেয়ে পাসপোর্ট পায়। পরের চিঠির জবাব আসে অর্থমন্ত্রক থেকে। জানানো হয় পোস্ট অফিসে সেভিংস ব্যাঙ্ক হলেও এজেন্টরা কর্মহীন হবেন না।

birth certificate
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy