প্রতীকী ছবি।
সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে টিকাকরণ নীতি সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের দোষ দিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁদের দাবি মেনেই কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে কিছুটা টিকাকরণের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিল। এখন রাজ্যকে দোষ দিলেও সুপ্রিম কোর্টে কিন্তু কেন্দ্র পুরনো টিকা নীতির পক্ষেই সওয়াল করেছিল।
রাজ্যগুলির মূল অভিযোগ ছিল, কেন্দ্র ১৫০ টাকা প্রতি ডোজ় দরে টিকা কিনলেও রাজ্যকে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে টিকা কিনতে হচ্ছে। এই দামের বৈষম্যের জন্যই রাজ্যগুলি দাবি তুলতে শুরু করে, কেন্দ্রই সস্তায় টিকা কিনে রাজ্যগুলিকে বিলি করুক। প্রধানমন্ত্রী এখন রাজ্যকে দোষারোপ করলেও, কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে বলেছিল, বাড়তি দাম টিকা সংস্থাগুলির জন্য উৎসাহের কাজ করবে। বিদেশি টিকা সংস্থাগুলিও এ দেশে টিকা তৈরিতে উৎসাহিত হবে। ৪৫ বছরের বেশি বয়সিদের টিকা কেন্দ্র দেবে, তার থেকে কম বয়সিদের দেবে না, এই নীতিও ভাবনাচিন্তা করেই নেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রের যুক্তি ছিল।
কেন্দ্র এখন টিকাকরণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ায়, রাজ্য যে টিকা ৩০০ বা ৪০০ টাকায় কিনছিল, কেন্দ্র সেটাই এখন ১৫০ টাকায় কিনবে। এতে রাজ্যগুলির প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। কেন্দ্রের খরচ বাড়লেও টিকার পিছনে সরকারি ব্যয় কমবে। সরকারি সূত্রের অবশ্য দাবি, সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে প্রধানমন্ত্রী নীতি বদল করেননি। প্রধানমন্ত্রী ১ জুনই কেন্দ্রীয় স্তরে টিকা কেনার সিদ্ধান্তে নীতিগত সম্মতি দিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয় তার পরে, ২ জুন।
নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিনোদ পলের দাবি, গত এক মাসে অন্তত ১২টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকেই টিকা কিনে বিলি করার অনুরোধ করেছিলেন। তার মধ্যে পঞ্জাব, কেরল, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, মহারাষ্ট্রের মতো বিরোধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও হয়েছেন। কেন্দ্রের দাবি, এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ নেই। রাজ্যগুলির ভিত্তিতেই টিকাকরণ নীতি শুধরে রাজ্যগুলিকে কী ভাবে সাহায্য করা সম্ভব, প্রধানমন্ত্রী তা খতিয়ে দেখতে বলেন। গত ১৫ ও ২১ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রকে পর্যালোচনা হয়। টিকা সংস্থাগুলির সঙ্গেও বৈঠক হয়। পল বলেন, ‘‘আমাদের নিজস্ব ফিডব্যাক ব্যবস্থাতেও রাজ্যগুলির সুবিধে-অসুবিধে খতিয়ে দেখা হয়। রাজ্যগুলির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তার পরেই পুরনো নীতিতে ফেরার সিদ্ধান্ত।’’ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত নীতিতে ২১ জুন থেকে মোট উৎপাদিত টিকার ৭৫ শতাংশ কেন্দ্র কিনে রাজ্যগুলিকে বিলি করবে। বাকি ২৫ শতাংশ কিনতে পারবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy