Advertisement
E-Paper

'Pie' day: ‘পাই’ দিবসে তার স্বরূপ সন্ধানই ব্রত

অঙ্কের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, পাই বলতে তাঁরা বোঝেন ২২/৭। একে ঘিরে কৌতূহলের শেষ নেই। কেন ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক পাই দিবস? গবেষক ও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পাই-এর আসন্ন মান ২২/৭ শুরু হয় ৩.১৪ থেকে। ‘১৪ মার্চ’ লেখা হয় কী ভাবে? মাস আগে এবং দিন পরে দিলে, লেখা হয় ৩.১৪।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২২ ০৮:৪১
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিরন্তর গবেষণা। তবু ‘অসীম পর্যন্ত ধাবমান’ ‘পাই’-এর রহস্যের কিনারা আজ পর্যন্ত পুরোপুরি করে উঠতে পারেনি গণিত বা বিজ্ঞান। পাই-এর মান ঠিক কত? গণিতবিদেরা জানেন, তা নিখুঁত ভাবে নির্ধারণ করা যাবে না। কিন্তু তার কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা চলছে বহু বছর ধরে। সোমবার আন্তর্জাতিক পাই দিবসে সেই মান নির্ণয় নিয়েই আলোচনা চলল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

অঙ্কের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, পাই বলতে তাঁরা বোঝেন ২২/৭। একে ঘিরে কৌতূহলের শেষ নেই। কেন ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক পাই দিবস? গবেষক ও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পাই-এর আসন্ন মান ২২/৭ শুরু হয় ৩.১৪ থেকে। ‘১৪ মার্চ’ লেখা হয় কী ভাবে? মাস আগে এবং দিন পরে দিলে, লেখা হয় ৩.১৪। সোমবার ছিল ১৪ মার্চ। তার উপরে ১৪ মার্চ বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের জন্মদিন এবং বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিন্সের মৃত্যুদিনও।

পাই হল গ্রিক বর্ণমালার ১৬তম বর্ণ। এর সংজ্ঞায় বলা হচ্ছে, যে-কোনও বৃত্তের পরিধির দৈর্ঘ্য এবং ব্যাসের দৈর্ঘ্যের অনুপাত হল পাই।

তেঁতুলবেড়িয়া অনুকূলচন্দ্র হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক শোভনকুমার বসু বলেন, ‘‘পাই-এর সাহায্যে বৃত্তের পরিধির মান নির্ণয়ে কাছাকাছি পর্যন্ত পৌঁছতে পারি। কিন্তু সম্পূর্ণ মান নির্ণয় করতে পারি না। এর মান দশমিকে প্রকাশ পেলে, তা অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পাই-এর মতো এমন আরও অনেক সংখ্যা আছে, যাদের যথাযথ মান নির্ণয় করা যায়নি। কিন্তু পাই-এর ব্যবহারিক প্রয়োগ সব থেকে বেশি। তাই এ নিয়ে এত বেশি।’’

পুরুলিয়ার জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্রের আধিকারিক ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শুধু অঙ্ক নয়, পাই-এর ব্যবহার আছে পদার্থবিদ্যা, রসায়নেও। পাই-কে ২২/৭ বলে ধরে নিলেও তা নিখুঁত নয়। এটি হল আসন্ন মান।’’ তিনি জানান, গ্রিক আমল থেকে পাই-এর মান নির্ধারণের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা চলছে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরাও চেষ্টা করছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা তথা গণিতের গবেষক পার্থ কর্মকার বলেন, ‘‘গণিতে পাই-এর গুরুত্ব অসীম। এর দশমিকে প্রকাশিত মান অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত। এ নিয়ে নিরন্তর গবেষণা জরুরি।’’

Math
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy