Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Gautam Adani

‘মোদী-ঘনিষ্ঠ’ আদানির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত এবং জেপিসি গড়ার দাবি সংসদে

বিরোধীদের যুক্তি, এটি শুধু একটি শিল্পগোষ্ঠীর সম্পদের মূল্য কমে যাওয়ার প্রশ্ন নয়। এর জেরে সামগ্রিক ভাবে দেশবাসীর সঞ্চয় বিপন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

Adani issue rocks parliament

আদানিকাণ্ডের তদন্তের দাবিতে সংসদে হট্টগোল। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৮
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের পাশাপাশি এ বার যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গড়ার দাবি তুলল বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার ‘প্রতারণা’ নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার এবং শেয়ার বাজারের পতনের ঘটনার তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সংসদে এই জোড়া দাবিতে সরব হন কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম এবং শিবসেনা সাংসদেরা।

বৃহস্পতিবার লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশনে বিরোধীদের যুক্তি, এটি শুধু একটি শিল্পগোষ্ঠীর সম্পদের মূল্য কমে যাওয়ার প্রশ্ন নয়। এর জেরে দেশবাসীর সঞ্চয় বিপন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। কারণ, ওই সংস্থার মাধ্যমে এলআইসি বা স্টেট ব্যাঙ্কের তহবিলে বিনিয়োগ হয়েছে, ঋণ হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষের জীবনভর উপার্জনের সঞ্চয় রয়েছে। বুধবার আদানি এন্টারপ্রাইজ়েসের ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন শেয়ার ছাড়ার (এফপিও) প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরে আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রুত তদন্ত এবং পদক্ষেপের প্রয়োজন। বিরোধীরা এই দাবিতে সরব হওয়ার পরেই বৃহস্পতিবার লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন দুপুর ২টো পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়।

কিন্তু সরকারি তত্ত্বাবধানে সেই তদন্তপ্রক্রিয়া নিরপেক্ষ হবে না বলে প্রকাশ্যেই অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী সাংসদেরা। তাঁদের অভিযোগ, শুধু মোদী নন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ শাসক শিবিরের একাধিক প্রথম সারির নেতার সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’ রয়েছে আদানিদের। ফলে নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার অধিবেশন শুরুর আগে সংসদে রণকৌশল স্থির করতে বিভিন্ন বিরোধী দলের সাংসদদের বৈঠকে ডেকেছিল কংগ্রেস। বাম, শিবসেনা, ডিএমকের পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েনও। বৈঠকের পরে কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যসভা সাংসদ মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, ‘‘আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত এবং জেপিসি গড়ার দাবি জানিয়েছি। জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখেই আমাদের এই দাবি।

তবে বিরোধীরা দাবি জানালেও মোদী সরকার জেপিসির দাবি মানবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিরোধী শিবিরে। পরিসংখ্যান বলছে, বিরোধীদের দাবি মেনে রাজীব গান্ধীর জমানায় বফর্স-কাণ্ড, নরসিংহ রাও সরকারের আমলে হর্ষদ মেহতা শেয়ার কেলেঙ্কারি কিংবা মনমোহন সিংহের সরকারের আমলে টু-জি স্পেকট্রাম বিক্রির ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে জেপিসি গড়া হলেও প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইস্তক সে পথ মাড়াননি মোদী। ললিত মোদীর আইপিএল-কাণ্ড, নীরব মোদীর ঋণ দুর্নীতি, রাফাল চুক্তির ‘অস্বচ্ছতা’ নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE