তেজস্বী যাদবের বাসভবনে মহাজোট নেতারা এক দফা প্রাথমিক আলোচনা সারবেন।—ফাইল চিত্র।
বিহারে আসন সমঝোতা নিয়ে মহাজোটের দলগুলির মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা আগামী সপ্তাহে শুরু হবে। কংগ্রেসের বিহার পর্যবেক্ষক শক্তি সিংহ গোহিল আজ এ কথা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আসন সমঝোতায় কোনও সমস্যা হবে না। সকলে মিলে বসে কে কোন আসনে লড়বে তা ঠিক করা হবে।” যদিও কোন দল কত আসনে লড়বে তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি। তবে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আগে আগামিকাল তেজস্বী যাদবের বাসভবনে মহাজোট নেতারা এক দফা প্রাথমিক আলোচনা সারবেন। তবে মকর সংক্রান্তির পরে তা ঘোষণা করা হবে। লালুপ্রসাদ যাদব এতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিহারে ৪০টি আসনের মধ্যে আরজেডি ইতিমধ্যেই ২০টি আসনে লড়াই করার পরিকল্পনা করেছে। সদ্য মহাজোটে যোগ দেওয়া উপেন্দ্র কুশওয়াহা ৪টি আসনে লড়বেন বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেস ১০টি আসনে এবং বাকি ৬টি আসন অন্যদের দেওয়া হবে বলে রাজনৈতিক সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও মহাজোটের অন্য শরিকেরা সেই ভাগাভাগি মেনে নেবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। শরদ যাদব, জিতনরাম মাঁঝি এবং মুকেশ সহানির মতো নেতারা অনেক বেশি আসন দাবি করছেন। সেই দাবি কংগ্রেস এবং আরজেডি কী ভাবে সামলায়, সেটাই দেখার।
শুধু আসন সমঝোতা নয়, প্রার্থী নির্বাচন নিয়েও মহাজোটের দলগুলির মধ্যে বিরোধ রয়েছে। মুঙ্গের লোকসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করেছেন মোকামার নির্দল বিধায়ক অনন্ত সিংহ। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবেই লড়তে চান তিনি। দিল্লিতে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ‘ছোটে সরকার’ হিসেবে পরিচিত অনন্ত।
এই বাহুবলি নেতা নীতীশ কুমারের ‘ডন’ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে জিতনরাম মাঁঝিকে দেখে নেবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। সেই অনন্তকে মহাজোটে নিতে আপত্তি রয়েছে বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের। তাঁর মতে, অনন্ত ‘ব্যাড এলিমেন্ট’। যদিও তেজস্বীর অভিযোগ মানতে নারাজ উপেন্দ্র কুশওয়াহার দল রাষ্ট্রীয় লোকসমতা পার্টি। তারা অনন্তকে মহাজোটের প্রার্থী করার বিষয়টিকে সমর্থন করেছে। দলের সহসভাপতি নাগমণি বলেন, “অনন্তের জনসমর্থন রয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে লালুপ্রসাদের সঙ্গে কথা বলেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy