ভারতে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে মদত দিয়ে ‘ছায়াযুদ্ধ’ চালানোর জন্য গত কালই পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতে দাঁড়িয়ে তাঁর এই অভিযোগ নিয়ে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করল ইসলামাবাদ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ আখ্যা দিয়ে আজ পাক সরকারের মুখপাত্র মন্তব্য করেছেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপ না করে দু’দেশের উচিত আলোচনার মাধ্যমে সব বিতর্কিত বিষয়ের সমাধান করা।” ইসলামাবাদের এই প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি গত কাল রাত থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দু’বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক জন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বুধবার সকাল দশটা নাগাদ পুঞ্চের ভীমবেড় গলি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে পাক সেনাবাহিনী ভারতীয় বাহিনীর চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। কোনও প্ররোচনা ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে পাক বাহিনীর এই আক্রমণের জবাব দেয় ভারতীয় সেনারাও।
যদিও মোদীর অভিযোগের পরে গত কাল রাত থেকেই পাক বাহিনীর তরফে আক্রমণ শুরু হয়ে যায়। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাত পৌনে দশটা নাগাদ জম্মুর আরনিয়া- আর এস পুরা সেক্টরে ভারতের দশটি সীমান্ত চৌকি ও জনবসতি লক্ষ্য করে পাকবাহিনী স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে গুলি চালিয়ে ও মর্টার ছুড়ে হামলা চালায়। সারা রাত ধরে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সঙ্গে পাক বাহিনীর গোলাগুলি বিনিময় চলেছে।
স্বাধীনতা দিবসের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি ঢুকিয়ে দিতেই পাকিস্তানের তরফ থেকে বারবার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অফিসাররা মনে করছেন। এমন ঘটনার কড়া জবাব দিতে বলা হয়েছে সেনাবাহিনী ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে। স্বাধীনতা দিবসের আগে সীমান্তের জম্মু, পুঞ্চ, রাজৌরি, সাম্বা জেলাগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তবে সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি থাকলেও দু’দেশের শান্তি প্রক্রিয়া কোনও ভাবেই থেমে যাবে না বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি। কূটনীতিকদের মতে, এ মাসের শেষ সপ্তাহে ইসলামাবাদে দু’দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের বিষয় ভারতের তরফে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি, বাণিজ্য ও দু’দেশের মানুষের ভিতরে সম্পর্ক বাড়ানোর উপরেও জোর দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy