ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব।
গিলগিট-বালটিস্তানকে তড়িঘড়ি নতুন প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করে ওই এলাকায় নিজেদের অবৈধ দখলদারিকে লুকোতে চাইছে পাকিস্তান। রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়াদিল্লি বলেছে, পাকিস্তান যে সব অঞ্চল অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে তা যেন অবিলম্বে খালি করে দেয়।
নিজেদের দখলে রাখা গিলগিট-বালটিস্তানকে নতুন প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করতে পারে ইসালামাবাদ। এমনটা আগেই আগেই আঁচ করতে পেরেছিল নয়াদিল্লি। তখনই ভারতের বিদেশমন্ত্রক পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। নয়াদিল্লির হুঁশিয়ারিতে কর্ণপাত না করে গিলগিট-বালটিস্তানকে নতুন প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ। রবিবার গিলগিট-বালটিস্তানে গিয়ে তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র, নদীবাঁধের মতো একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাক সেনা এবং চিনের চাপেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খানের সরকার।
পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক থেকে এক বিবৃতিও জারি করা হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “ভারতীয় ভূখণ্ডের পরিবর্তনের যে প্রচেষ্টা পাকিস্তান চালাচ্ছে, তা সম্পূর্ণ দৃঢ়তার সঙ্গে খারিজ করছি আমরা।” তিনি আরও বলেন, “১৯৪৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী গিলগিট-বালটিস্তান ভারতের কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জরবদখল করে রাখা ওই অঞ্চলের কোনও কিছু পরিবর্তন করার কোনও অধিকার নেই পাকিস্তানের।”
Please see our statement on Pakistan Government’s decision to accord “provisional provincial status” to the so-called “Gilgit-Baltistan” : pic.twitter.com/8XzPT0aSFH
— Anurag Srivastava (@MEAIndia) November 1, 2020
এর পরই অনুরাগ বলেন, “অবৈধ দখলদারি গোপন করতেই পাকিস্তানের এই প্রচেষ্টা। জোর করে দখলে রাখা ওই অঞ্চলগুলিতে যে ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, যে ভাবে ৭ দশক ধরে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, তা কী করে লুকোবে পাক সরকার?”