কাশ্মীর পরিস্থিতি, অনুপ্রবেশ, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের মতো বিষয়গুলি নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদ চলছেই। কিন্তু তারই মধ্যে কিছুটা নিচু সুরে হলেও দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগের একটি সেতু বাঁধা হল পঞ্জাব সীমান্তে।
আগামী বুধবার ভারত-পাকিস্তান করতারপুর সীমান্ত করিডরের উদ্বোধনে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের উপস্থিতি চেয়েছিল ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশি কূটনৈতিক প্রোটোকল মেনে নিজেই নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দুই বিদেশমন্ত্রীর ফোনেও কথা হয়। কিন্তু তেলঙ্গানা বিধানসভা ভোটে প্রচারে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে সফর এড়িয়ে গেলেন সুষমা। তবে তিনি নিজে না গেলেও পাঠানো হচ্ছে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আজ বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ জানিয়েছেন, ‘‘২৬/১১-র হামলা এবং করতারপুর সাহিব করিডর—এই দু’টি বিষয়কে পৃথক ভাবে দেখা উচিত।’’ দুই মন্ত্রীকে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ছাড়াও পাকিস্তানের তরফে নিমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ এবং কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিংহ সিধুকে। অমরেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসের এই আবহে তিনি পাকিস্তান যেতে চান না। নভজ্যোত সিংহ সিধু (ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাঁকে এই করতারপুর করিডর খোলা নিয়ে প্রথম আশ্বাস দিয়েছিলেন পাক সেনাপ্রধান কমর বাজওয়া) অবশ্য জানাচ্ছেন, তিনি এই আমন্ত্রণে ‘সম্মানিত’।