কাছাড় জেলার কাটিগড়া মহকুমায় ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। গত রাতেও শিলাবৃষ্টি-সহ ঝড় বয়ে যায় কাটিগড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে। ক্ষতি হয়েছে বোরো ধানেরও।
ভারপ্রাপ্ত মহকুমা শাসক খালেদা সুলতানা আহমদ জানান, বার বার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ছেন কাটিগড়ার বহু মানুষ। মঙ্গলবারের ঝড়ের তাণ্ডব সামাল দেওয়ার আগেই কাল রাতে ফের কালবৈশাখী আছড়ে পড়ে। মঙ্গলবার ৩৭০টি পরিবারের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার মধ্যে ২০০টি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। ১৭০টি বাড়ি আংশিক ভেঙে পড়ে। কালও মহকুমার জালালপুর, ভৈরবপুর এলাকায় দুশো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুশকিলে পড়েছেন এলাকার বোরো চাষীরাও। ক’দিন পরই ধান কাটা শুরু হওয়ার কথা। তার আগে শিলাবৃষ্টিতে প্রচুর ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সুলতানা আহমদ জানান, ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জেলাশাসকের অফিসে পেশ করা হবে। পরে বিভিন্ন বিভাগ বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করবে।
মঙ্গলবারের ঝড়ে ক্ষতি হয় কাছাড় জেলার বড়খলা এলাকাতেও। বিশেষ করে, ধলছড়া থেকে বান্দরখাল পর্যন্ত, ডিমা হাসাও জেলা সংলগ্ন গ্রামগুলিতে প্রচুর বাড়িঘর, দোকানপাট মাটিতে মিশে গিয়েছে। ভেঙে যায় বিদ্যুতবাহী বহু খুঁটিও। তিন দিন ধরে ওই সব অঞ্চল অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। কবে নাগাদ বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক হবে, বিভাগীয় কর্তারা তাও স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy