জরুরী অবস্থা জারির দিনটিকে গণতন্ত্রের পক্ষে অন্যতম কালো দিন বলে ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জরুরী অবস্থা জারির ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার টুইটারে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গাঁধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। লক্ষাধিক মানুষ তার বিরোধিতা করেছিলেন। গণতন্ত্র কায়েম করতে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন নবীনরাও। আর এরই জেরে দু’বছর পর উঠে যায় জরুরী অবস্থা।
টুইটারে মোদী এ দিন জানান, ‘২৫ জুন গণতন্ত্রের পক্ষে অন্ধকারতম দিন। ৪০ বছর আগে তত্কালীন নেতারা গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছিলেন। যার ক্ষত আমরা আজও বয়ে বেড়াচ্ছি।’
জরুরী অবস্থার বিরুদ্ধে নামা মানুষদের অভিনন্দন জানিয়ে মোদী বলেন, “সে দিন গণতন্ত্রের পক্ষে যাঁরা পথে নেমেছিলেন তাঁরা আমাদের আদর্শ।’’ এ বিষয়ে জয়প্রকাশ নারায়ণের প্রসঙ্গ টেনে তাঁর দাবি, ‘সে দিন জেপি-র ডাকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে লক্ষাধিক মানুষ পথে নেমেছিলেন।’ জয়প্রকাশ নারায়ণের ডাকে তিনিও পথে নেমেছিলেন বলে তিনি জানান, সে দিন পথে নেমে তিনি অনেক অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছেন।
সম্প্রতি নাম না করে দেশে নতুন করে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা আডবানী। একটি ইংরেজি দৈনিকে দেওয়া তাঁর এই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, দেশে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। সরাসরি নাম না করলেও তিনি যে মোদীর সরকারের দিকেই তাক করতে চেয়েছিলেন তা সন্দেহের অবকাশ রাখেনি। স্বয়ং গুরুই শিষ্যের উপরে আস্থা রাখতে না পারায় তার ফায়দা তুলতে বিন্দুমাত্র দেরি করেনি বিরোধী দলগুলিও। আডবাণীর মন্তব্য ঘিরে বিরোধীদের কটাক্ষে অস্বস্তিতে পড়ে মোদী সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy