বিক্রমশীলাকে ফের উচ্চ মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে ৫০০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ হয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে আমন্ত্রণ আগেই গিয়েছিল। তা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজে ফোন করলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। আগামী ৮ তারিখ রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে দেওয়া নৈশভোজে হাজির থাকতে মমতাকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেছেন প্রণব।
হাসিনার সফরের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আব্দুল মুহিত আজ নয়াদিল্লি এসেছেন। দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক সমন্বয় সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গেও সম্ভাব্য দ্বিপাক্ষিক আর্থিক চুক্তিগুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে কেন্দ্রের উৎকন্ঠা এখন সবচেয়ে বেশি হাসিনা দিল্লি থাকাকালীন, মমতার আসা, না-আসা নিয়ে। কূটনৈতিক কর্তারা মনে করছেন, মমতা-হাসিনার মুখোমুখি বৈঠক হলে, তিস্তা নিয়ে বরফ গলার কাজ শুরু হতে পারে। সরকারি সূত্রের খবর, হাসিনার সফরের সময় সীমান্তবর্তী পাঁচটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করেছে কেন্দ্র। কিন্তু রাষ্ট্রপতি ভবনের নৈশভোজে (যেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) একমাত্র মমতাকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রণববাবুও অন্য কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেননি।
তৃণমূল সূত্রের খবর, মমতা নিজে দিল্লি আসার ব্যাপারে পাকা কথা দেননি প্রণবকে। কিন্তু না-ও বলেননি। শুধু বলেছেন, এ ব্যাপারে পরে জানাবেন। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, রাষ্ট্রপতি নিজে টেলিফোন করার পর মমতার পক্ষে না-আসাটা কঠিন হয়ে পড়বে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে মনমোহন সিংহের সরকার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একই সঙ্গে নিমন্ত্রণ করেছিল ঢাকা সফরের জন্য। সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে ঢাকা সফর বাতিল করে দিয়েছিলেন মমতা। তবে এ বার মমতাকে তিস্তা নিয়ে যে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেই বার্তা নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
হাসিনার সফরে তিস্তা চুক্তি সই না হোক, কিছুটা অগ্রগতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি এতটা কাম্য। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, মোদী-হাসিনার শীর্ষ বৈঠকে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের সংস্কার এবং উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশে যাতে জলের সমস্যা না হয়, সে জন্য ভারতকে বর্ষার জল ধরে রাখতে রিজার্ভার গড়ার প্রস্তাব দেবে ঢাকা। এ ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসিনার রাজনৈতিক পরামর্শদাতা টি এইচ ইমাম। বিষয়টি যৌথ বিবৃতিতেও রাখা হতে পারে।
হাসিনার সফরের সময়ে ‘মিনিস্টার ইন ওয়েটিং’ হিসেবে রাখা হয়েছে বাবুল সুপ্রিয়কে। আতিথেয়তার দায়িত্বে থাকবেন তিনি। তবে সূত্রের খবর, এ নিয়ে বাংলাদেশ কিছুটা হতাশ। তারা ভেবেছিল এম জে আকবরের মতো ওজনদার কাউকে ওই দায়িত্বে রাখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy