Advertisement
E-Paper

সংবিধান বিরোধী, যুক্তি সংরক্ষণ মামলায়

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের ভোটে পরাজয়ের পর ‘জেনারেল ক্যাটিগরি’র গরিবদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এই সিদ্ধান্ত বিরোধীদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৬:১০

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের ভোটে পরাজয়ের পর ‘জেনারেল ক্যাটিগরি’র গরিবদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এই সিদ্ধান্ত বিরোধীদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও আজ বক্তৃতায় বলেছেন, শ্রেণিগত ভেদাভেদ মুছে দিতে মোহনদাস কর্মচন্দ্র গাঁধীর স্বপ্ন পূরণ করতেই গরিব ঘরের মেধাবী সন্তানদের জন্য সংরক্ষণের বন্দোবস্ত হয়েছে। যদিও বিরোধীদের যুক্তি, নিজস্ব উচ্চবর্ণের ভোটব্যাঙ্ক সরে যেতে দেখে বিজেপি চাপে পড়ে গিয়েছিল।

তবে এতে বাধা দিতে গেলে গরিবদের তোপের মুখে পড়তে হবে ভেবে বিরোধীরা সংসদে বাধা দেননি। বিল পাশ হয়ে যায়।

যদিও বিরোধী নেতা, সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশের যুক্তি ছিল, সংবিধানে জাতপাতের ভিত্তিতে ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, সামাজিক বৈষম্য দূর করতে সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। গরিবদের জন্য আলাদা করে সংবিধানে সেই সংস্থান নেই। এই সংরক্ষণ সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী। ঠিক এই কারণে ইন্দ্রা সাহনে মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নরসিংহ রাও সরকারের আমলে গরিবদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে খারিজ করে দিয়েছিল।

ঠিক এই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে ‘ইউথ ফর ইকুয়ালিটি’। বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগেই। পরে আরও কিছু সংগঠন এবং ব্যক্তিও মামলা করেছেন। এম নাগরাজ মামলার রায় উল্লেখ করে মামলাকারীদের যুক্তি, মোট সংরক্ষিত আসন ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারে না। এছাড়া, ওবিসি, তফসিলি জাতি, জনজাতির মানুষদের আর্থিক সংরক্ষণ থেকে বাদ দিলে শুধু উচ্চবর্ণের মানুষরাই এর সুবিধা পাবেন।

Supreme Court Reservation BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy