Advertisement
E-Paper

Priyanka Gandhi Vadra: ‘লড়তে পারি, মনে হয়েছিল সেই রাতে’, ভোটের প্রচারে ‘ফেসবুক লাইভ’-এ বললেন প্রিয়ঙ্কা

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে জনসভা বন্ধ। তাই উত্তরপ্রদেশের ভোটের প্রচারে ‘ফেসবুক লাইভ’ করেন প্রিয়ঙ্কা বঢরা। উত্তর দেন বহু প্রশ্নের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৪০
ফেসবুক লাইভে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। মঙ্গলবার।

ফেসবুক লাইভে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। মঙ্গলবার। ছবি— পিটিআই।

প্রশ্ন: আপনি তো ‘লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ’ স্লোগান তুলেছেন। আপনার নিজের কোনও এমন মুহূর্ত রয়েছে, যখন এমন অনুভূতি হয়েছে?

প্রিয়ঙ্কা: লখিমপুর খেরি যাওয়ার সময় লখনউ থেকে বার হতেই পুলিশ রাস্তা আটকায়। আমার গাড়ি পুলিশের নজর এড়িয়ে বেরিয়ে যেতেই পুলিশের গাড়ি পিছু নেয়। তখন রাত দেড়টা। ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। আমি হাইওয়ে থেকে গাড়ি গ্রামের রাস্তায় নামিয়ে নিতে বলি। পুলিশের গাড়ি পিছনে ধাওয়া করছিল। গাড়ির অন্যরা পুরুষ হলেও দেড় ঘন্টা গ্রামের রাস্তা ধরে যাওয়ার পরে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। আমি স্টিয়ারিংয়ে না থাকলেও পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নিলাম। বললাম, খেতের রাস্তায় গাড়ি ঢুকিয়ে, আলো নিভিয়ে, ইঞ্জিন বন্ধ করে বসে থাকব। পুলিশ অন্ধকারে আমাদের দেখতে না পেয়ে বেরিয়ে গেল। তার পর আমরা লখিমপুর খেরি রওনা দিলাম। তখন মনে হয়েছিল, লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ।

প্রশ্ন: ছোটবেলায় আপনার সঙ্গে রাহুলের লড়াই হত? কে জিততেন?

প্রিয়ঙ্কা: আন্দাজ করুন তো, কে জিততেন! রাহুলই জিততেন। ছোটবেলায় বাড়িতেই ঠাকুমার হত্যার পরে আমাদের বাইরে বেরনো, স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়িতেই পড়াশোনা, পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। বাবা গোটা দেশে ঘুরতেন। মা-ও প্রায়ই সঙ্গে যেতেন। ঘরবন্দি দুই ভাই-বোনের মধ্যে বন্ধুত্বও গভীর হয়েছে, তাগড়া লড়াইও। মারপিট থামাতে বাবাকে জোর করে ছাড়াতে হত। বাইরে থেকে অবশ্য কেউ লড়তে এলে দু’জনের টিম তৈরি করে হামলা করতাম। এখনও সেই টিম রয়েছে।

প্রশ্ন: হস্তিনাপুরের কংগ্রেস প্রার্থী, মডেল-অভিনেত্রী অর্চনা গৌতমকে পোশাক, বিয়ের দিনক্ষণ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।

প্রিয়ঙ্কা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা কোনও পুরুষ নেতাকে কেন এই সব প্রশ্ন করা হয় না? কেন মহিলাদেরই পোশাক, বিয়ে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়?

প্রশ্ন: আপনি উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মায়ের মতো মহিলাদের উত্তরপ্রদেশে প্রার্থী করেছেন। তাঁরা তো অর্থবলে, বাহুবলে অন্য দলের তুলনায় দুর্বল প্রার্থী বলে ধরে নেওয়া হবে!

প্রিয়ঙ্কা: কথাটা কিছুটা ঠিক। কিন্তু তা-ও মনে হয়েছে, এই মহিলাদের রাজনৈতিক শক্তি দেওয়া দরকার। আর আমাদের দল তো রয়েইছে।

প্রশ্ন: নির্বাচনে কোন একটি বিষয় বদলাতে চাইবেন?

প্রিয়ঙ্কা: শুধু ইতিবাচক বিষয়ে কথা হবে। সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। বিভাজনের রাজনীতি হবে না।

প্রশ্ন: আপনার বাড়িতে সব সিদ্ধান্ত কে নেন?

প্রিয়ঙ্কা: ভয়ানক গণতন্ত্র। সকলের মতামত নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় কী জলখাবার হবে, তাতেও। বোধহয় সব পরিবারেই এমন হয়।

প্রশ্ন: ছেলেমেয়েকে হোমওয়ার্ক করিয়েছেন?

প্রিয়ঙ্কা: আজ সকালেও মেয়ের একটা কাজ দেখে দিতে হয়েছে। শুধু ছেলেমেয়ের নয়, তাদের বন্ধুদের হোমওয়ার্ক, অ্যাসাইনমেন্টও করতে হয়েছে। আমি সেই আন্টি, যার কাছে সব বাচ্চাই এসে অ্যাসাইনমেন্ট করে দিতে বলে। কখনও তো সারা দিন প্রচার সেরে ফিরেও রাত ৩-৪টে পর্যন্ত বাচ্চাদের, তাদের বন্ধুদের হোমওয়ার্ক, অ্যাসাইনমেন্ট করেছি।

প্রশ্ন: সনিয়া গান্ধী আপনাকে কী বলে ডাকেন?

প্রিয়ঙ্কা: আদর করে ‘প্রি’ আর রেগে গেলে প্রি-য়-ঙ্কা।

Priyanka Gandhi Vadra Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy