Advertisement
০২ মে ২০২৪
Tamilnadu

জয়ললিতার মৃত্যুর পিছনে শশীকলার ভূমিকায় গাফিলতি, আম্মা-সঙ্গীর বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ

রিপোর্টে বলা হয়েছে, “পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে, জয়ললিতার মৃত্যুর সময় শশীকলার ভূমিকায় গাফিলতি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা জরুরি।”

জয়ললিতা এবং শশীকলা।

জয়ললিতা এবং শশীকলা। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
চেন্নাই শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৫২
Share: Save:

জয়ললিতার মৃত্যুর পিছনে তাঁরই সঙ্গী শশীকলার ভূমিকায় গাফিলতি রয়েছে। তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এডিএমকে নেত্রী জয়ললিতার মৃত্যু নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। ২০১৬ সালে জয়ললিতার মৃত্যুর পর, তাঁর পরিবার এবং দলের একাংশ অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁকে চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে। ওই বছরই সে রাজ্যের এডিএমকে সরকার মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এ অরুমুগাস্বামীর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। প্রায় ৬ বছর ধরে এই বিষয়ে তদন্ত করার পর কমিটির প্রথম রিপোর্ট অগস্ট মাসে জমা পড়েছিল। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট তামিলনাড়ু বিধানসভায় পেশ করে সে রাজ্যের ডিএমকে সরকার।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, “পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে, জয়ললিতার মৃত্যুর পিছনে শশীকলার গাফিলতি রয়েছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা জরুরি।” তবে শুধু শশীকলাই নন, ৬০০ পাতার তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, জয়ললিতার তৎকালীন মুখ্যসচিব রামামোহন রাও অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়েছিলেন। একই সঙ্গে জয়ললিতার মৃত্যুর সময়ে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার জন্য সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয়া বাস্কর এবং অ্যাপোলো হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতাপ রেড্ডির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করার সুপারিশ করেছে কমিশন।

২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যান তামিল রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র, তামিলনাড়ুর ৪ বারের মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। ২২ সেপ্টেম্বর থেকেই তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু জয়ললিতার প্রয়াণের পর সে রাজ্যে খবর রটে যায় যে, ৪ ডিসেম্বরই মারা গিয়েছেন জয়ললিতা। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে সেই খবর চেপে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। অ্যাপোলা হাসপাতাল এই তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আর্জি জানালেও সুপ্রিম কোর্টে তা খারিজ হয়ে যায়।

তামিলনাড়ুর অধুনা শাসক দল ডিএমকে ক্ষমতায় এসে এই সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তদন্ত রিপোর্টে জয়ললিতার ‘ঘনিষ্ঠদের’ দিকেই অভিযোগের আঙুল ওঠায় রাজনৈতিক ভাবেও ডিএমকে লাভবান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tamilnadu J. Jayalalithaa VK Sasikala AIADMK
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE