Advertisement
০৬ মে ২০২৪

বাইপাস প্রকল্পের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা

করিমগঞ্জের জাতীয় সড়কের বিভিন্ন অংশে মরণফাঁদ। জেলার অধিকাংশ রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ। পথ সংস্কারের দাবিতে বহু বার আন্দোলন করেছেন এলাকার মানুষ। রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে। জাতীয় সড়কে নৌকা চালিয়ে প্রতিবাদ করেছেন মানুষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫৩
Share: Save:

করিমগঞ্জের জাতীয় সড়কের বিভিন্ন অংশে মরণফাঁদ। জেলার অধিকাংশ রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ। পথ সংস্কারের দাবিতে বহু বার আন্দোলন করেছেন এলাকার মানুষ। রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে। জাতীয় সড়কে নৌকা চালিয়ে প্রতিবাদ করেছেন মানুষ। কিন্তু তা সত্ত্বেও কাজের কাজ হয়নি। এ বার মৈনা-চান্দখিরা বাইপাস সড়ক নির্মাণ করাতে আপত্তি তুলেছেন এলাকার অধিকাংশ মানুষ। তাঁদের মতে, যে রাস্তা নতুন করে সমস্যা তৈরি করবে সেই পথ আদতে তাঁদের কোনও কাজে আসবে না। সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এ বার এলাকার কিছু মানুষ গৌহাটি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থের মামলা দায়ের করেছেন। ২০১৩ সালে বারইগ্রাম-চান্দখিরা বাইপাস নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। যাঁদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে তাঁদের জন্য সরকারি নিয়ম অনুসারে ক্ষতিপূরণের টাকাও বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই টাকা হাতে পাননি বারইগ্রাম-চান্দখিরা এলাকার ভূমিহারা মানুষ। আজ দক্ষিণ করিমগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমদ বিকল্প পথ নির্মাণের সম্ভাব্য সমস্যা নিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক রঞ্জিত কুমার লস্করের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, এই সড়ক নির্মাণের জন্য টাকা মঞ্জুর করেছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। বারইগ্রাম থেকে চান্দখিরা পর্যন্ত বিকল্প সড়ক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন সেই সড়কটি বারইগ্রামের পরিবর্তে মৈনা থেকে শুরু করতে যাচ্ছে বর্তমান বিজেপি সরকার।

তাঁদের অভিযোগ, মৈনা থেকে সড়ক নির্মাণ শুরু হলে সমস্যা বহুগুণ বেড়ে যাবে। ভাঙা পড়বে ৭০টিরও বেশি বাড়ি। ভাঙা পড়বে দুগরা প্রাথমিক বিদ্যালয়-সহ বেশ কয়েকটি কবরস্থান। তা ছাড়া জমি অধিগ্রহণের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তা দিয়ে ওই এলাকার মানুষের ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। সিদ্দেকের বক্তব্য, মৈনা এলাকার কিছু কিছু অংশে বর্তমানে এক বিঘা জমির দাম এক কোটি টাকা। সেখানে সরকারি ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বিঘা প্রতি ৭৩ হাজার টাকা। জমি মালিকরা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।

স্থানীয় মানুষদের একাংশ গত ৬ অক্টোবর গৌহাটি হাইকোর্টে জনস্বার্থের একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের প্রাথমিক নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পরামর্শ দেন। সিদ্দেক আহমদ আজ অভিযোগকারীদের নেতৃত্ব দিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। সাধারণ জমি মালিকদের অভিযোগের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘ বিকল্প পথের বিষয়ে নতুন করে সমীক্ষা করে জমি অধিগ্রহণ করা হোক। তা না হলে এলাকার মানুষ কোনও ভাবেই এই সড়ক নির্মাণ করতে দেবে না। কারণ সরকারকে জমি দিয়ে জনগণের লোকসান ছাড়া লাভ হবে না। অভিযোগ শুনে বিষয়টি নিয়ে পূর্ত বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

High court Bypass project
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE