শামসের ও নভপ্রীতের বিয়ের এই ছবিই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
অসম বয়সের প্রেম। সেখান থেকে পরিণয়। কিন্তু মেনে নেয়নি পরিবার। বরং লাগাতার হুমকি দিচ্ছিল। তার জেরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল পঞ্জাবের এক দম্পতি। তবে শেষমেষ সহায় হল হাইকোর্ট। রাজ্য পুলিশকে ওই দম্পতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিল ।
পঞ্জাবের ধুরি মহকুমার বালিয়ান গ্রামের বাসিন্দা শামসের সিংহ। বয়স ৬৭ বছর। জানুয়ারি মাসে ভালবেসে বিয়ে করেন ২৪ বছরের নভপ্রীত কউরকে। অসম বয়সী বিয়েতে আপত্তি ছিল দুই পক্ষেরই পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের। বাড়ি থেকে পালিয়ে তাই চণ্ডীগড়ের একটি গুরুদ্বারে বিয়ে সারেন তাঁরা।
কিন্তু অসমবয়সী এই বিয়ের কথা চাপা থাকেনি। বিয়ের সময় গুরুদ্বারে হাজির লোকজনের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সামনে আসে বিয়ের একটি ছবিও। তার পরই দুই পরিবারের লোকজন নড়েচড়ে বসেন। নবদম্পতিকে হুমকি দিতে শুরু করেন তারা। উপায় না দেখে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শামসের ও নভপ্রীত। পরিবার-পরিজনদের হাতে প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন বলে জানান তাঁরা। সেই সঙ্গে নিরাপত্তার আর্জি জানান। তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। সাঙরুর ও বারনালা জেলার এসএসপিদের ওই দম্পতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: রাজীবকে জেরার আগেই কলকাতা পুলিশের পাল্টা হানা নাগেশ্বরের স্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত সংস্থায়
আরও পড়ুন: ‘ম্যাডি বাবুই দুর্নীতির মাস্টার’, মোদীকে পাল্টা তোপ মমতার
আদালতে শামসের ও নভপ্রীতের হয়ে সওয়াল জবাব করছিলেন আইনজীবী মোহিত সাদানা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, দুই পরিবারের লোকজনের কাছে এই বিয়েটা অস্বাভাবিক ঠেকে। তাই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও শামসের ও নভপ্রীতের সিদ্ধান্ত মেনে নেননি কেউ। এমনকি, নবদম্পতিকে হুমকিও দিতে শুরু করেন। তাই আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না শামসের-নভপ্রীতের।
হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়েছেন। সেই মতো ওই দম্পতির নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখা হবে না বলে নিশ্চিত করেছে সাঙরুর পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy