মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় প্রতিবাদে সরব বিভিন্ন সংগঠন। ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সাধারণ জনতা। এআইডিএসও-র পক্ষ থেকে আজ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। শিলচরে ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কুশপুতুল জ্বালানো হয়।
এ দিন সকালে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল করে এআইডিএসও-র সদস্যরা শহিদ ক্ষুদিরামের মূর্তির পাদদেশে আসেন। সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। ছাত্র সংগঠনটির জেলা সম্পাদক গৌর দাস বলেন, ‘‘হিমন্ত বিশ্ব শর্মা যেমন কংগ্রেস আমলে, তেমনই বিজেপি আমলে শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব নিয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। কঠোর-কঠিন হওয়ার হুমকি দিয়ে প্রকৃত অর্থে সমস্ত ব্যাপারে উদাসীন থাকেন।’’ তাঁর সন্দেহ, কোনও বিশেষ স্বার্থেই বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখান। আর তাতে ছাত্রসমাজকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এআইডিএসও-র জিজ্ঞাসা, প্রতি বছর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটছে, এ কেমন ব্যাপার। এই ধরনের ঘটনা ঠেকানো না গেলে এত ঢাকঢোল পেটানোর কী প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, গত কাল গণিতের বদলে সমাজবিদ্যা ও অসমিয়া প্রশ্ন বিলি করা হয় দু’টি পরীক্ষাকেন্দ্রে। এর পরই বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়, তাঁরা যেন সকাল সাড়ে ৭টা এক বার থানায় গিয়ে খাম খুলে দেখে আসেন, ঠিকঠাক প্রশ্ন এসেছে কি না। পরে আবার তিনি খাম বন্ধ করে আসবেন এবং নির্ধারিত সময়ে থানা থেকে তা আনবেন। এই অতিরিক্ত দায়িত্বের জন্য সেন্টার-প্রধানদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এক সেন্টার প্রধানের অভিযোগ, এ বার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভুলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এক প্রশ্ন ঢোকাতে গিয়ে অন্য বিষয়ের প্রশ্ন পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন ভুগতে হবে সেন্টার প্রধানদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy