কিংবদন্তির নামে অরুণাচলের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে বলে প্রশ্ন উঠেছে। তার কেন্দ্রে রয়েছে কৃষ্ণ-রুক্মিণী প্রসঙ্গ।
কৃষ্ণের রুক্মিণীহরণ ও বিবাহ গুজরাতের পোরবন্দর লাগোয়া মাধবপুর ঘেরে রামনবমী উৎসবের প্রধান আকর্ষণ। এ বছর অরুণাচল থেকে শ’দেড়েক শিল্পীকে সেই উৎসবে নিয়ে যাওয়া হয়। কৃষ্ণের সঙ্গে অরুণাচল-মণিপুরের সুপ্রাচীন সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে হাজির ছিলেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। গিয়েছেন রাজ্যের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুও। উৎসবে প্রচার হচ্ছে, রুক্মিণী আদতে ইদু-মিসমি উপজাতির রাজা ভীষ্মকের কন্যা। তাঁকে জোর করে বিয়ে করতে চাইছিলেন চেদিরাজ শিশুপাল। তখন কৃষ্ণ রুক্মিণীকে হরণ করেন। লিকাবালির মালিনীথানে তাঁরা বিশ্রাম নেন। পরে মাধবপুর ঘেরে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা কিন্তু জানাচ্ছেন ওই কাহিনির বয়স মেরেকেটে পাঁচ দশক। ষাটের দশকে রাজ্যে খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রভাব বাড়তে শুরু হয়। তার মোকাবিলা করতেই লোহিতের পরশুরাম কুণ্ড, মালিনীথান আর রোয়িংয়ের ভীষ্মকনগরকে মিলিয়ে কৃষ্ণ-রুক্মিণীর এই গল্প ছড়ানো হয়েছিল। ওই গল্পকেই জোরদার ভাবে প্রতিষ্ঠিত করছে এ বারের মাধবপুর ঘের। চিনকেও বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, অরুণাচল ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ।