রবি-প্রণাম। শনিবার তারাপুরে স্বপন রায়ের তোলা ছবি।
বরাক উপত্যকার নানা স্থানে আজ দিনভর রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত হল। বরাক উপত্যকা বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের প্রতিটি জেলা ও আঞ্চলিক কমিটি পৃথক ভাবে অনুষ্ঠান করে। অন্যান্য সংস্থা-সংগঠনও কবিপ্রণামে উদ্যোগী হয়।
শিলচরে মূল অনুষ্ঠান হয় তারাপুরে রবীন্দ্রমূর্তির পাদদেশে। উপস্থিত ছিলেন শিলচরের পুরপ্রধান নীহার ঠাকুর, বিধায়ক দিলীপ পাল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য প্রমুখ। শিলচর পুরসভা ও আর্য সংস্কৃতি বোধনী সমিতি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের শিলচর শহর কমিটি রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মনস্বী’ নামে একটি দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশ করে। ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হয় স্কুল ছাত্রদের মধ্যে। তিন দিনের অনুষ্ঠানসূচি ঘোষণা করেছে কমিটি। গীতাঞ্জলি নামে একটি প্রতিষ্ঠান সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শ্যামাচরণ রোড মহিলা সমিতি তাদের কার্যালয়ে ঋতুরঙ্গ গীতিআলেখ্য পরিবেশন করে। লক্ষীপুরে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে দিনভর কর্মসূচি পালন করে মণিপুরি সাহিত্য পরিষদ, অসম।
হাইলাকান্দির হরিচরণ মহামায়া মধ্য ইংরেজি বালিকা বিদ্যালয়ে অভিনব উপায়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত হয়। তাঁরা একে ‘দাদুর জন্মদিন’ হিসেবে উদযাপন করে। এই উপলক্ষে পায়েস তৈরি করে বিতরণ করা হয়। প্রধান শিক্ষিকা পূরবী নাথ বলেন, ‘‘আপনজনের জন্মদিনে আমরা কত কিছু করি। পায়েস তো হয়ই। তাই তাঁর জন্মদিনেও লাল বাতাসা দিয়ে পায়েস তৈরি করলাম।’’
হাইলাকান্দিতে যৌথভাবে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের আয়োজন করে বরাক উপত্যকা বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন এবং রবীন্দ্র ভবন কর্তৃপক্ষ। দু’দিনের এই অনুষ্ঠান কাল সকালে শুরু হয়েছে। বেরোয় শোভাযাত্রা। দেওয়াল পত্রিকা ‘বঙ্গলিপি’–র উন্মোচন করেন বরাক বঙ্গের কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতীশ ভট্টাচার্য।
করিমগঞ্জও এ দিন কবিপ্রণামে মেতে ওঠে। শম্ভুসাগর পার্কে রবি ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে ক্লাব-সংগঠনের সদস্যরা। শহরের নৃত্যনীড়, গীতিবীথি, চারণিক, বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন, করিমগঞ্জ হোলসেল কো-অপারেটিভ, বিশ্ব বঙ্গের তরফ থেকে পুষ্পার্ঘ প্রদান করা হয়। শৈলজা বিশ্বাস মণিমুক্তা বিদ্যামন্দিরের ছাত্র-ছাত্রীরা নৃত্য পরিবেশন করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy