মোদী সরকারের জমি নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন মা। ছেলে কিন্তু অজ্ঞাতবাসেই। এ নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা যখন উপচে পড়েছে, তখন কংগ্রেস হাইকম্যান্ড জানিয়ে দিল, সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে দলীয় সভাপতি হিসেবে রাহুল গাঁধী নির্বাচিত হতে ৬ মাসের বেশি দেরি হবে না। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ২১ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন করে তাঁকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হবে।
তবে দলীয় সূত্র এ-ও বলছে, ওই নির্বাচনের আগেই দলের প্লেনারি অধিবেশন থেকে রাহুলের অভিষেকের ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। নির্বাচন হবে প্রথা পূরণের জন্য। ঠিক যেমন দলীয় সভানেত্রী পদে অভিষেকের সময় হয়েছিল।
এপ্রিলে কংগ্রেসের মহা অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দশ নম্বর জনপথ সূত্রের খবর, এপ্রিলে প্লেনারি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তা গড়াতে পারে জুলাইয়ে। কেন না সনিয়া মনে করছেন, প্লেনারির আগে রাজনৈতিক ক্ষেত্র প্রস্তুত করা জরুরি। তবে এ সব সাংগঠনিক খুঁটিনাটি সরিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে এখন বড় কৌতূহল, রাহুল ছুটি কাটিয়ে ফিরবেন কবে? নাকি সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকেই তিনি ছুটি নিয়ে নিলেন! ফের সনিয়া কংগ্রেসের হাল ধরবেন কি না! বিশেষ করে এখন সনিয়া যে ভাবে সক্রিয় হয়েছেন, তাতে সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অলিন্দে। আবার বিরোধীরা রাহুলের অনুপস্থিতি নিয়েও কটাক্ষ করছেন। এমনকী, কংগ্রেস সহ-সভাপতির নির্বাচন কেন্দ্র অমেঠীতেও নিরুদ্দেশ সম্পর্কিত ঘোষণার পোস্টার পড়েছে।