Advertisement
০২ মে ২০২৪

প্রণবের ক্ষোভ বুঝেই অধ্যাদেশে রাহুলের ‘না’

নরেন্দ্র মোদী সরকারের এক মন্ত্রী বলেন, লালুদের বাঁচাতে সনিয়া গাঁধীর নির্দেশে অধ্যাদেশ আনা হয়। সেই সময় মনমোহন ছিলেন আমেরিকায়।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৭ ০৩:২৫
Share: Save:

জোট ছাড়ার আগে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে শেষ বৈঠকেও নীতীশ কুমার তুলেছিলেন বিতর্কিত অধ্যাদেশের প্রসঙ্গ। চার বছর আগে ইউপিএ জমানায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মনমোহন সিংহের সরকার যে অধ্যাদেশ এনেছিল লালু প্রসাদদের বাঁচাতে। রাহুল গাঁধী বলেছিলেন, সরকারের আনা অধ্যাদেশ ভুল। এটি ছিঁড়ে ফেলা উচিত।

মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েও নীতীশ কুমার ফের তোলেন এই কথা। রাহুল গাঁধী যদি দুর্নীতির প্রশ্নে সেই সময় লালুদের পাশে না দাঁড়ান, তা হলে আজ কেন দাঁড়াচ্ছেন? নিজেরই সরকারের বিরুদ্ধে রাহুলের তোপ ঘিরে বিতর্ক হয়েছিল। আজ প্রকাশ হল অধ্যাদেশ ছিঁড়ে ফেলার কথা বলার নেপথ্য কাহিনী।

নরেন্দ্র মোদী সরকারের এক মন্ত্রী বলেন, লালুদের বাঁচাতে সনিয়া গাঁধীর নির্দেশে অধ্যাদেশ আনা হয়। সেই সময় মনমোহন ছিলেন আমেরিকায়। সেখান থেকেই তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। কিন্তু অধ্যাদেশ দেখে ক্ষুব্ধ প্রণব সম্মতি দিতে চাননি। রাষ্ট্রপতিকে বোঝাতে মন্ত্রিসভার দুই সদস্য সুশীল কুমার শিন্দে ও কপিল সিব্বলকে পাঠান মনমোহন। কিন্তু রুষ্ট রাষ্ট্রপতি ১৬ পাতার নির্দেশিকাও তৈরি করেন।

রাষ্ট্রপতির আপত্তিতে মুখ পুড়বে ভেবেই মনমোহন বিষয়টি জানান সনিয়াকে। সনিয়া-রাহুলের বৈঠকে স্থির হয়, রাষ্ট্রপতি সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলার থেকে দলই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করুক। রাহুল দিল্লির প্রেস ক্লাবে জানান, তাঁর দল এই অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে। এটি ছিঁড়ে ফেলা উচিত। সরকার সেই অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করে। আজ রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রেও জানানো হয়, অধ্যাদেশ আনার কী যৌক্তিকতা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রণব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE