পরিষেবার নানা ক্ষেত্রে রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভূরি ভূরি। তার মধ্যে সময়ে ট্রেন চালাতে না-পারার অভিযোগটাই আছে শীর্ষে।
ট্রেনের দেরি কমাতে এ বার খারাপ সিগন্যাল চিহ্নিত করার জন্য নতুন প্রযুক্তি আনছে রেল। নতুন ব্যবস্থায় সিগন্যালে সেন্সর লাগানো থাকবে। তার সঙ্গে নেট ব্যবস্থার (৩জি বা ৪জি) মাধ্যমে কন্ট্রোলের যোগ থাকবে। কোথাও সিগন্যাল খারাপ হলে সঙ্গে সঙ্গে সেই সমস্যা ফুটে উঠবে রেল কন্ট্রোলের মনিটরে।
রেলের পরিভাষায় এই ধরনের ব্যবস্থাকে বলা হয় ‘রিমোট সিগন্যাল মনিটরিং সিস্টেম’। পরীক্ষামূলক ভাবে পশ্চিম রেল ও দক্ষিণ-পশ্চিম রেলে দু’টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে রেল মন্ত্রক। ভাল ফল মিললে সর্বত্রই তা চালু করা হবে। এই ব্যবস্থায় ট্রেনের দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হবে এবং যাত্রী-সুরক্ষাও জোরদার করা যাবে বলে দাবি রেলকর্তাদের।
এ দেশে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা অনেক আগে চালু করা গেলেও অনেক জোনেই কিছু এলাকায় এখনও ‘ম্যানুয়াল’ বা হস্তচালিত প্রযুক্তিতে সিগন্যাল দেওয়া হয়। রেলের নিয়ম অনুযায়ী অটোমেটিক সিগন্যাল জোনে সিগন্যাল খারাপ দেখলে চালক এক মিনিট ট্রেন দাঁড় করিয়ে তার পরে ১৫ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে যাবেন পরের সিগন্যাল পর্যন্ত। কিন্তু ম্যানুয়াল সিগন্যাল খারাপ হলে চালককে দাঁড়িয়েই থাকতে হবে। সামনের স্টেশন থেকে ‘পাইলট মেমো’ বা ট্রেন এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি আসার আগে পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এটাই দস্তুর।
সিগন্যাল খারাপ হলে স্টেশনে খবর পাঠাতে হয় আটকে পড়া ট্রেনের চালককেই। তার পরে সিগন্যাল যত দূরেই হোক, স্টেশন থেকে এক জন মোটবাহককে দিয়ে ‘পাইলট মেমো’ পাঠানো হয় চালকের কাছে। রেললাইন ধরে হেঁটেই যেতে হয় সেই মেমো-বাহককে। ফলে সময় লাগে অনেকটাই। সিগন্যালিংয়ে নতুন ব্যবস্থা চালু হলে ট্রেনের এই দেরি কমানো যাবে রেলকর্তাদের আশা।