এখনই পাওয়া যাবে না এই সুবিধা ছবি সংগৃহীত।
দীর্ঘ সফরে রাত কাটাতে হবে বলে দূরপাল্লার ট্রেনে আগে নিয়মিতই সেগুলো দেওয়া হত। অতিমারির অতি-ছোঁয়াচে প্রকৃতির জন্যই ট্রেনে কম্বল, বালিশ, তোয়ালে দেওয়ার পাট শিকেয় উঠে যায়। তবে ধীরে ধীরে সব ধরনের ট্রেন চলাচল শুরু হতে থাকায় শিকে থেকে সেগুলিকেও নামানোর সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছিল। শীতও সমাগত। কিন্তু করোনা সংক্রমণের, বিশেষত তার নতুন অবতার ওমিক্রনের হানাদারির আশঙ্কায় দূরপাল্লার ট্রেনের বাতানুকূল কামরায় কম্বল-বালিশ-চাদর দেওয়ার ব্যবস্থা এখনই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে না।
দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পরে অনেক ক্ষেত্রেই পুরনো পরিষেবা ফিরিয়ে এনেছে রেল। সেই অনুযায়ী বাতানুকূল শ্রেণিতে কম্বল, বালিশ, তোয়ালে ফেরানোর বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন অনেকেই। রেলের বেশ কয়েকটি জ়োনে খুব তাড়াতাড়ি ওই পরিষেবা ফিরবে ধরে নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও শুরু করে দেওয়া হয়েছিল। চলছিল কম্বল, চাদর পরিচ্ছন্ন করার প্রক্রিয়া।
এর মধ্যে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের সংক্রমণ-আশঙ্কা বাড়তে শুরু করেছে এ দেশেও। টিকাকরণের কাজ এগোলেও সারা দেশে নতুন করে সংক্রমণ বাড়বে না, এমন কথা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরাও। তাই দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রীদের ‘বেড-রোল’ বা কম্বল, বালিশ, চাদর দেওয়ার ব্যবস্থা আপাতত ফেরাচ্ছে না রেল।
সম্প্রতি সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রেনে শয্যাসামগ্রী না-ফেরানোর কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বিষ্ণোই। এই সিদ্ধান্তের ফলে উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিম ভারতের একাংশে শীতের মরসুমে ট্রেন সফরে যাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অসুবিধার কথা মেনে নিচ্ছেন রেলকর্তারাও। তাঁদের বক্তব্য, অতিমারির সংক্রমণ এড়াতে বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy