RBI Released List of Defaulters of Top Businessmen with the Highest Amount of Loans Written
দেশ
মাল্য, নীরব মোদী, চোক্সী, পতঞ্জলি, রোটোম্যাক... আর যাঁদের বিপুল ঋণ ‘মকুব’ করল ব্যাঙ্কগুলি
নিজস্ব প্রতিবেদন
২৯ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৫২
Advertisement
১ / ১৭
করোনা-ত্রস্ত দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের হাতে ফের পুরনো অস্ত্র। তার সাহায্যে নতুন করে আক্রমণ শানাচ্ছেন তাঁরা। বিতর্কের কেন্দ্রে আরবিআই-এর প্রকাশ করা একটি তালিকা। যেখানে রয়েছে ৫০টি সংস্থার নাম।
২ / ১৭
সংস্থাগুলির ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ কর্ণধারদের মধ্যে কেউ কেউ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে তা না মিটিয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। অনেকে আবার দেশে থেকেও ঋণের বকেয়া টাকা মেটাননি। বরং দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক তাদের বিপুল অঙ্কের ঋণ মকুব করে দিয়েছে।
Advertisement
Advertisement
৩ / ১৭
আরটিআই কর্মী সাকেত গোখলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে তথ্যের অধিকার আইনে এমন ৫০টি সংস্থার নাম জানতে চান, যাঁরা স্বেচ্ছায় ঋণ শোধ করেননি। চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি অবধি তাঁদের অনাদায়ী ঋণের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও জানতে চান।
৪ / ১৭
গত ২৪ এপ্রিল সেই তালিকা দিয়েছেন আরবিআই-এর কেন্দ্রীয় তথ্য আধিকারিক অভয় কুমার। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৫০টি সংস্থার ৬৮ হাজার ৬০৭ কোটি টাকার বকেয়া ঋণ মকুব করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলি।
Advertisement
৫ / ১৭
এই সংস্থাগুলির মধ্যে শীর্ষে আছে মেহুল চোক্সীর ‘গীতাঞ্জলি জেমস লিমিটেড’। তাদের জন্য মকুব করে দেওয়া ঋণের পরিমাণ ৫৪৯২ কোটি টাকা।
৬ / ১৭
মেহুলের অন্য দুই সংস্থা গিলি ইন্ডিয়া লিমিটেডের ১৪৪৭ কোটি এবং নক্ষত্র জেমল লিমিটেডের ঋণ মকুব করা হয়েছে ১ হাজার ১০৯ কোটি টাকা।
৭ / ১৭
সন্দীপ ও সঞ্জয় ঝুনঝুনওয়ালার সংস্থা আরইআই অ্যাগ্রো লিমিটেডের ৪৩১৪ কোটি টাকা মকুব করা হয়েছে।
৮ / ১৭
যতীন মেহতার উইনসাম ডায়মন্ডস অ্যান্ড জুয়েলারির ক্ষেত্রে মকুব করা ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৭৬ কোটি টাকা।
৯ / ১৭
রোটোম্যাক গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেডের ২৮৫০ কোটি টাকার ঋণ মকুব করা হয়েছে।
১০ / ১৭
পঞ্জাবের কুডোস কেমি লিমিটেডের জন্য মকুব করা ঋণের অঙ্ক ২৩২৬ কোটি টাকা।
১১ / ১৭
আরবিআই প্রকাশিত তালিকায় আছে বাবা রামদেবের পতঞ্জলির শাখা সংস্থা রুচি সয়া ইন্ডাস্ট্রিজের নামও। এই সংস্থার জন্য মকুব করা ঋণের পরিমাণ ২২১২ কোটি টাকা।
১২ / ১৭
জুম ডেভলপারস সংস্থার জন্য মকুব করা ঋণের অঙ্ক ২০১২ কোটি টাকা।
১৩ / ১৭
আরবিআই প্রকাশিত তালিকায় আছে ফরএভার প্রেশাস জুয়েলারি ডায়মন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের নামও। তাদের জন্য মকুব করা হয়েছে ১৯৬২ কোটি টাকার ঋণ।
১৪ / ১৭
ডেকান ক্রনিকল হোল্ডিংস লিমিটেডের ক্ষেত্রে মকুব করা ঋণ ১৯১৫ কোটি টাকা।
১৫ / ১৭
বিজয় মাল্যর সংস্থা কিংফিশার এয়ারলাইন্সের জন্য মকুব করা হয়েছে ১ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে, তা পরিশোধ না করে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। বর্তমানে রয়েছেন ব্রিটেনে।
১৬ / ১৭
বিজয় মাল্যর মতো পলাতক মেহুল চোক্সী ও তাঁর ভাগনে নীরব মোদীও। তাঁরা পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের প্রায় সাড়ে তেরো হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দেশান্তরী হয়েছেন। অ্যান্টিগা ও বার্বাডোজের নাগরিকত্ব নিয়ে মেহুল চোক্সী আছেন সে দেশেই। নীরব মোদী আছেন লন্ডনে। এঁদের সবাইকে প্রত্যর্পণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই ও ইডি।
১৭ / ১৭
আরবিআই-এর ভাষায় এই ঋণগ্রহীতাদের ঋণের অঙ্ক মুছে দেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্কের হিসেব থেকে। অর্থাৎ শোধ না করা এই বিপুল অঙ্কের ঋণের পরিচয় এখন ‘অনাদায়ী’ বা ‘অনুৎপাদক’ সম্পদ। খাতায় কলমে অবশ্য এই ‘অনুৎপাদক’ সম্পদ মানে ঋণ মকুব করা নয়। তবে এ ক্ষেত্রে ঋণ ফেরতের আশা কার্যত নেই ধরে নিয়েই এই গোত্রে ফেলা হয়।