দশম বারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ দিলেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। একই সঙ্গে শপথ নিল তাঁর মন্ত্রিসভাও। নতুন শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছেন বিজেপি নেত্রী শ্রেয়সী সিংহ। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দ্বিগ্বিজয় সিংহের কন্যা শ্রেয়সীর রাজনীতিক ছাড়াও অন্য পরিচয়ও রয়েছে। তিনি পদকজয়ী শুটার। কমনওয়েল্থ গেমসে সোনা জিতেছেন। ৩৪ বছর বয়সি সেই শ্রেয়সীই এ বার জায়গা করে নিলেন বিহারের এনডিএ-র মন্ত্রিসভায়।
ক্রীড়াজগৎ থেকে এলেও সক্রিয় রাজনীতিতে একেবারে নতুন নন শ্রেয়সী। অভিজ্ঞ পরিষদীয় রাজনীতিতেও। পর পর দু’বার বিহারের বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। দু’বারই জিতেছেন বিহারের জামুই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। এ বছরের নির্বাচনে ৫৪ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়েছেন আরজেডি প্রার্থীকে। পারিবারিক সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন শ্রেয়সী। তাঁর বাবা দিগ্বিজয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। রাজ্যসভা এবং লোকসভা— উভয় কক্ষেই প্রতিনিধিত্ব করেছেন দিগ্বিজয়। শ্রেয়সীর মা পুতুল কুমারীও প্রাক্তন সাংসদ।
এ হেন রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা শ্রেয়সী ক্রীড়াজগতেও নিজের ছাপ ফেলেছেন। ২০১৮ সালের কমনওয়েল্থ গেমসে শুটিংয়ে স্বর্ণপদক জেতেন তিনি। ২০১৪ সালের কমনওয়েল্থে রুপো জিতেছেন। ওই বছরই এশিয়ান গেম্সেও রুপো জেতেন তিনি। ঝুলিতে রয়েছে অর্জুন পুরস্কারও। গত বছরের প্যারিস অলিম্পিক্সেও ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন শ্রেয়সী।
আরও পড়ুন:
২০২০ সালে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। সেই থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে। পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়ার পরে রাজনীতির ময়দানে প্রথম পরীক্ষাতেই সফল হন। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে জামুই থেকে প্রার্থী করে বিজেপি। ৪১ হাজারেরও বেশি ভোটে আরজেডি প্রার্থীকে হারিয়ে বিহারের বিধানসভায় পা রাখেন তিনি। এ বার জয়ের ব্যবধান আরও বৃদ্ধি করে ৫৪ হাজার করে নিয়েছেন শ্রেয়সী। গত বিধানসভা নির্বাচনে জিতলেও মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি তিনি। দ্বিতীয় বারের জামুই থেকে সফল হওয়ার পরে তাঁর দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেল বিহারের পরিষদীয় রাজনীতিতে। নীতীশের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কন্যা।
বৃহস্পতিবার নীতীশের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে শপথ নেওয়ার পরে শ্রেয়সী ধন্যবাদ জানান জামুইবাসীকে। কৃতজ্ঞতা জানান নিজের পরিবারকেও। নতুন শপথ নেওয়া মন্ত্রিসভায় যে তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার মিশেল রয়েছে, তা-ও তুলে ধরেন তিনি।