বাড়িতে শৌচালয় নেই। তাই বাইরে অথবা আত্মীয়ের বাড়িতে শৌচকর্ম সারতে যেতে হতো। তাতেই আপত্তি ছিল দুমকার অষ্টাদশী স্নাতক-পড়ুয়া খুশবু কুমারীর। মা-বাবা আশ্বাস দিয়েছিলেন, খুশবুর বিয়ের পরেই বাড়িতে শৌচালয় বানানো হবে। কারণ বিয়েতে অনেক খরচ। কিন্তু বিয়ে পর্যন্ত অপেক্ষা করল না খুশবু। বাড়িতে শৌচালয় না থাকাকে কেন্দ্র করে বাবা-মায়ের সঙ্গে বিবাদের জেরে আত্মঘাতী হল সে।
কাল বিকেলে দুমকার গোশালা রোড-শাস্ত্রী নগরের ওই ঘটনায় এসপি বিপুল শুক্ল জানিয়েছেন, তদন্তে এটা আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তাঁর দাবি, মেয়েটির বাবা শ্রীকান্ত যাদবও জানিয়েছেন, বাড়িতে শৌচালয় না থাকার কারণেই মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। যদিও কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। শুক্ল বলেন, ‘‘শৌচালয় নিয়ে খুশবুর সঙ্গে অনেক বারই মতবিরোধ হয়েছিল তাঁর বাবা-মার। শৌচালয় তৈরির চেয়ে ওর বিয়ের খরচ জোগাড় করাটাই খুশবুর মা-বাবার কাছে বেশি জরুরি বলে মনে হয়েছিল।’’ শুক্রবারও এই নিয়ে বাবা-মার সঙ্গে খুশবুর ঝগড়া হয়। এর পরেই অভিমানী তরুণী নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেক ক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও খুশবু ঘরের দরজা খুলছে না দেখে তাঁরা ধাক্কাধাক্কি করেন। শেষ পর্যন্ত দরজা ভেঙে খুশবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
খুশবুর বাবা শ্রীকান্ত যাদব ভাড়ার গাড়ি চালানোর কাজ করেন। দরিদ্র পরিবারে দুই ভাই বোনের পড়ার খরচ জোগাড় করতে গিয়েই হিমশিম অবস্থা ছিল শ্রীকান্তের। খুশবু বিএ ক্লাসে ভর্তি হওয়ার পর তার বিয়ে দেওয়া নিয়েও চিন্তিত ছিলেন শ্রীকান্ত। এই অবস্থায় বাড়িতে শৌচালয় বানানোকে তেমন গুরুত্ব দিতে চাননি শ্রীকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘এক সঙ্গে এতগুলো জিনিস করার মতো আর্থিক অবস্থা আমার নয়। কিন্তু মেয়ে মানতেই চাইত না। কিন্তু তাতে যে মেয়ে আত্মঘাতী হবে, তা ভাবতে পারিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy