জুমিয়া পরিবারগুলিকে সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতে উদ্যোগী হল ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ (টিটিএএডিসি)।
কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সাহায্যে রাজ্য সরকার আগে উদ্যোগ নিলেও, এখনও কয়েক হাজার জুমিয়া পরিবার পাহাড়ের খাঁজে জুম চাষ করে জীবনধারণ করেন। জুম চাষ করা যথেষ্ট কষ্টকর— তা স্বীকার করে টিটিএএডিসি-র প্রধান কার্যকরী সদস্য রাধাচরণ দেববর্মা জানান, ত্রিপুরাতে এখনও ৬-৭ হাজার উপজাতি পরিবার জুম চাষ করে জীবন যাপন করছেন। তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এডিসি কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৯৯৫ সাল নাগাদ সরকারি হিসেব অনুসারে এ রাজ্যে ৩৫-৪০ হাজার জুমিয়া পরিবার ছিল। তাঁদের অনেকেই পারিবারিক জুম চাষ ছেড়ে জীবনযাপনের বিকল্প ব্যবস্থা বেছে নিয়েছেন। রাধাচরণবাবু বলেন, ‘‘এখনও কয়েক হাজার উপজাতি পরিবার রয়েছেন যাঁরা বংশ-পরম্পরায় জুম চাষ করে জীবনযাপন করতেই বেশি পছন্দ করেন। তাঁদেরও পুনর্বাসনের মাধ্যমে বিকল্প চাষের ব্যবস্থা করবে ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ।’’
ত্রিপুরায় জুমিয়া পরিবারগুলির খোঁজ মেলে ধলাই, উত্তর ত্রিপুরা ও গোমতী জেলার পার্বত্য এলাকায়। ২২-২৩ বছর একনাগাড়ে বামফ্রন্ট এ রাজ্যে ক্ষমতাসীন। কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়ার পরও কেন ৬-৭ হাজার ‘জুমিয়া’ পরিবার পুনর্বাসন পাননি? এ জন্য গত শতকের নব্বইয়ের দশকের জঙ্গি সমস্যাকেই দায়ী করেন এডিসি-র প্রধান কার্যকরী সদস্য রাধাচরণবাবু।
রবার চাষ ছাড়া আম, নারকেল, কমলা ইত্যাদি ফল চাষ করে যাতে রাজ্যের বাকি জুমিয়া পরিবারগুলি আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করবে টিটিএএডিসি কর্তৃপক্ষ। ওই সংস্থার সূত্রে খবর, দু’দশকে ৬ হাজার ৯৯৩টি জুমিয়া পরিবারকে ৭ হাজার ৬৩ হেক্টর জমি রবার চাষের জন্য দেওয়া হয়েছে। ফল চাষ করে জীবনধারণের জন্য পাঁচ হাজার জুমিয়া পরিবার জমি পেয়েছেন। সাধারণ চাষের পদ্ধতি জানেন না সে সব জুমিয়া পরিবার। তাঁদের এ সব চাষের নিয়মকানুন শেখানোর ব্যবস্থা করবে এডিসি কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy