নেই কোনও বিদেশি অতিথি।দর্শকাসনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেক। বসার বন্দোবস্তও হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। করোনা অতিমারির জন্য এমন সব অভিনব ও নজিরবিহীন প্রজাতন্ত্রের প্যারেড দেখল দেখল দেশ ও বিশ্ববাসী। তার সঙ্গে সামরিক প্রদর্শনীর এমন অনেক কিছুই ছিল, যা প্রথম বার জনসমক্ষে এল। রাফাল যুদ্ধবিমান এই প্রথম ‘স্কাই-ফ্লাই’-প্যারেডে অংশ নিল, তেমনই রাজপথে দেখা গেল টি-৯০ ট্যাঙ্ক। উড়ল সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানও।পশ্চিমবঙ্গের ‘সবুজ সাথী’র মডেল প্রজাতন্ত্রের প্যারেডে নজর কেড়েছে দিল্লিতে।
জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার পর এই প্রথম লাদাখের ট্যাবলো অংশ নিল প্রজাতন্ত্রের প্যারেডে। এ বছর ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পালন করছে বাংলাদেশ। সেই উপলক্ষে প্রথমবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে দেখা গেল প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনীর প্যারেডও।ওই বাহিনীতে ছিলেন ১২২ জন জওয়ান।
প্রায় দু’দশক পর কোনও যুদ্ধবিমান যুক্ত হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনায়। ফ্রান্স থেকে ৩৬টি রাফাল কিনেছে ভারত। তার মধ্যে আটটি হাতে পেয়েছে ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছে বায়ুসেনা। সেই রাফাল প্রথম বার অংশ নিল প্রজাতন্ত্রের প্যারেডে। আকাশে চক্র প্রদর্শনী দেখিয়েছে এই যুদ্ধবিমান। যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার-সহ সব মিলিয়ে বায়ুসেনার ৩৮টি আকাশযান অংশ নেয় প্যারেডে। ছিল পদাতিক বাহিনীর ৪টি বিমানও।রাজপথের প্রদর্শনীতে ছিল লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট ‘তেজস’, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ‘ধ্রুবাস্ত্র’, লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার, সুখোই-৩০ এমকেআই-এর মতো সামরিক অস্ত্রের মডেলও।