বিমানবাহিনীর টুইট, মৃতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে সব জল্পনা বন্ধ হোক।
কুন্নুরে কপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার তরফে যৌথ তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটি ইতিমধ্যেই তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু, কপ্টার দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে নানা গুজব-জল্পনা তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে যথেষ্ট বিব্রত বায়ুসেনা। বাহিনীর তরফে টুইট করে কার্যত কড়া বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, মৃতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই সব জল্পনা বন্ধ করা হোক।
অভিযোগ উঠেছে, প্রটোকল অনুযায়ী জেনারেল রওয়াতের মতো ভিভিআইপি-র ক্ষেত্রে কপ্টারের আগে পর্যবেক্ষণকারী কপ্টার থাকার কথা। কিন্তু, দুর্ঘটনার সময় অন্য কোনও হেলিকপ্টারের দেখা মেলেনি। একটি খবরের দাবি, রাওয়তের কপ্টারের আগে দু’টি ছোট কপ্টার নীলগিরি পাহাড়ের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছিল। কিন্তু, তারা ওয়েলিংটন হেলিপ্যাড না ছুঁয়েই ফিরে আসে। যদিও বায়ুসেনার তরফে এর সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
তদন্ত চলাকালীন এই ধরনের নানা খবর ছড়িয়ে পড়ায় বেশ অস্বস্তিতে বায়ুসেনা। টুইটে বলা হয়েছে, ‘৮ডিসেম্বর মর্মান্তিক কপ্টার দুর্ঘটনার তদন্তে একটি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে এর সত্যতা উদ্ঘাটন করা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত মৃতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে কোনও ধরনের জল্পনা এড়িয়ে যাওয়াই উচিত।’
IAF has constituted a tri-service Court of Inquiry to investigate the cause of the tragic helicopter accident on 08 Dec 21. The inquiry would be completed expeditiously & facts brought out. Till then, to respect the dignity of the deceased, uninformed speculation may be avoided.
— Indian Air Force (@IAF_MCC) December 10, 2021
বৃহস্পতিবার জেনারেল রাওয়ত ও আরও ১০ জনের দেহ দিল্লিতে আনা হয়। শায়িত রাখা হয় পালাম বিমানবন্দরে। সেখানে তাঁদের শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দাভাল। শনিবার রাওয়তের দেহ রাখা হয় তাঁর কামরাজ মার্গের বাড়িতে। বিকাল চারটেতে ব্রার স্কোয়ারে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।