Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Jashwant Singh Rawant

৩০০ চিনা সেনার বিরুদ্ধে একা লড়াই! কিংবদন্তি হয়ে লোকমুখে ঘোরে ভারতের এই বীর যোদ্ধার কথা

স্বাধীনতা উত্তর যুগে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এসেছেন এমন অনেক সেনা, অফিসার, যাঁদের সাহসিকতার গল্প আজও লোকের মুখে মুখে ঘোরে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২০ ১৩:৫০
Share: Save:
০১ ১৬
যে কোনও যুদ্ধই নায়কের জন্ম দেয়। আর এই নায়কদের ঘিরেই তৈরি হয় নানা কিংবদন্তি। স্বাধীনতা উত্তর যুগে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এসেছেন এমন অনেক সেনা, অফিসার, যাঁদের সাহসিকতার গল্প আজও লোকের মুখে মুখে ঘোরে। হাবিলদার আব্দুল হামিদ, সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট অরুণ ক্ষেত্রপাল, মেজর কুলদীপ সিংহ, ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর এমনই সব বীর যোদ্ধা। রাইফেলম্যান যশোবন্ত সিংহ রাওয়াতও এঁদেরই এক জন। বাষট্টির ভারত-চিন যুদ্ধের শহিদ, যাঁকে নিয়ে আজও ছড়িয়ে রয়েছে নানা মিথ।

যে কোনও যুদ্ধই নায়কের জন্ম দেয়। আর এই নায়কদের ঘিরেই তৈরি হয় নানা কিংবদন্তি। স্বাধীনতা উত্তর যুগে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এসেছেন এমন অনেক সেনা, অফিসার, যাঁদের সাহসিকতার গল্প আজও লোকের মুখে মুখে ঘোরে। হাবিলদার আব্দুল হামিদ, সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট অরুণ ক্ষেত্রপাল, মেজর কুলদীপ সিংহ, ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর এমনই সব বীর যোদ্ধা। রাইফেলম্যান যশোবন্ত সিংহ রাওয়াতও এঁদেরই এক জন। বাষট্টির ভারত-চিন যুদ্ধের শহিদ, যাঁকে নিয়ে আজও ছড়িয়ে রয়েছে নানা মিথ।

০২ ১৬
সেটা ছিল ভারত-চিন যুদ্ধের একবারে শেষ লগ্ন। নেফা-র সেলা আর বমডিলাতে হামলা চালায় চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। বর্তমানে এই জায়গা দু’টি পশ্চিম অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং এবং পশ্চিম কামেং জেলায় অবস্থিত।

সেটা ছিল ভারত-চিন যুদ্ধের একবারে শেষ লগ্ন। নেফা-র সেলা আর বমডিলাতে হামলা চালায় চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। বর্তমানে এই জায়গা দু’টি পশ্চিম অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং এবং পশ্চিম কামেং জেলায় অবস্থিত।

০৩ ১৬
দিনটা ছিল ১৭ নভেম্বর। ভোর পাঁচটা নাগাদ অরুণাচল প্রদেশের সেলাতে হানা দেয় চিনা সেনার দু’টি ব্যাটালিয়ন। মানে প্রায় ১৮০০ সেনার একটি বাহিনী। বিপদসঙ্কুল ভয়ঙ্কর সেই পার্বত্য অঞ্চলে নুরানাং সেতু সংলগ্ন ওই এলাকা রক্ষার দায়িত্বে ছিল গাড়ওয়াল রাইফেলস-এর চতুর্থ ব্যাটালিয়ন। বর্তমানে এই জায়গা দিয়ে গিয়েছে ১৩ নম্বর জাতীয় সড়ক, যা পশ্চিমের তাওয়াং এবং পূর্বের ওয়াকরোকে যুক্ত করে।

দিনটা ছিল ১৭ নভেম্বর। ভোর পাঁচটা নাগাদ অরুণাচল প্রদেশের সেলাতে হানা দেয় চিনা সেনার দু’টি ব্যাটালিয়ন। মানে প্রায় ১৮০০ সেনার একটি বাহিনী। বিপদসঙ্কুল ভয়ঙ্কর সেই পার্বত্য অঞ্চলে নুরানাং সেতু সংলগ্ন ওই এলাকা রক্ষার দায়িত্বে ছিল গাড়ওয়াল রাইফেলস-এর চতুর্থ ব্যাটালিয়ন। বর্তমানে এই জায়গা দিয়ে গিয়েছে ১৩ নম্বর জাতীয় সড়ক, যা পশ্চিমের তাওয়াং এবং পূর্বের ওয়াকরোকে যুক্ত করে।

০৪ ১৬
নুরানাং সেতুর কাছে রক্ষণাত্মক অবস্থান নিয়ে থাকা ভারতীয় সেনাদের উপর ভয়ঙ্কর আক্রমণ হানে চিনা সেনা। ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়তে থাকে চিনা আক্রমণ। কিন্তু পর পর তিন বার তাদের সব চেষ্টা বিফল হয়।

নুরানাং সেতুর কাছে রক্ষণাত্মক অবস্থান নিয়ে থাকা ভারতীয় সেনাদের উপর ভয়ঙ্কর আক্রমণ হানে চিনা সেনা। ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়তে থাকে চিনা আক্রমণ। কিন্তু পর পর তিন বার তাদের সব চেষ্টা বিফল হয়।

০৫ ১৬
কিছুতেই কাজ হচ্ছে না দেখে এর পর ভারতীয় বাহিনীর থেকে ১০০ ফিটের দূরত্বে একটি মিডিয়াম মেশিন গান নিয়ে আসে চিনারা। ভারতীয়দের লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ধেয়ে আসতে থাকে। যেমন ভাবেই হোক থামাতেই হবে ওই মেশিনগান। কিন্তু কী ভাবে? রণকৌশল ছকতে বসেন ভারতীয় সৈন্যদের দায়িত্ব থাকা সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট এসএন টন্ডন।

কিছুতেই কাজ হচ্ছে না দেখে এর পর ভারতীয় বাহিনীর থেকে ১০০ ফিটের দূরত্বে একটি মিডিয়াম মেশিন গান নিয়ে আসে চিনারা। ভারতীয়দের লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ধেয়ে আসতে থাকে। যেমন ভাবেই হোক থামাতেই হবে ওই মেশিনগান। কিন্তু কী ভাবে? রণকৌশল ছকতে বসেন ভারতীয় সৈন্যদের দায়িত্ব থাকা সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট এসএন টন্ডন।

০৬ ১৬
পাল্টা হামলার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন লান্স নায়েক ত্রিলোক সিংহ নেগি, রাইফলেনম্যান গোপাল সিংহ গুসেইন এবং রাইফেলম্যান যশোবন্ত সিংহ। পাথর আর ঝোপঝাড়ের আড়াল দিয়ে তারা শত্রুপক্ষের ১০ থেকে ২২ গজের কাছে পৌঁছে যান।

পাল্টা হামলার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন লান্স নায়েক ত্রিলোক সিংহ নেগি, রাইফলেনম্যান গোপাল সিংহ গুসেইন এবং রাইফেলম্যান যশোবন্ত সিংহ। পাথর আর ঝোপঝাড়ের আড়াল দিয়ে তারা শত্রুপক্ষের ১০ থেকে ২২ গজের কাছে পৌঁছে যান।

০৭ ১৬
উল্টো দিক থেকে ধেয়ে আসা মুহুর্মুহু গুলি এড়িয়ে গ্রেনেড হামলা চালাতে চালাতে চিনাদের সেই পজিশনে পৌঁছে যান যশোবন্ত সিংহ এবং গোপাল সিংহ। তাঁদের কভার ফায়ার দিতে থাকেন ত্রিলোক সিংহ। তিন চিনা সেনাকে মেরে দুই ভারতীয় সেনা ওই মিডিয়াম মেশিন গানটির দখল নেন।

উল্টো দিক থেকে ধেয়ে আসা মুহুর্মুহু গুলি এড়িয়ে গ্রেনেড হামলা চালাতে চালাতে চিনাদের সেই পজিশনে পৌঁছে যান যশোবন্ত সিংহ এবং গোপাল সিংহ। তাঁদের কভার ফায়ার দিতে থাকেন ত্রিলোক সিংহ। তিন চিনা সেনাকে মেরে দুই ভারতীয় সেনা ওই মিডিয়াম মেশিন গানটির দখল নেন।

০৮ ১৬
চিনাদের থেকে মেশিনগান ছিনিয়ে ফিরছিলেন যশোবন্ত সিংহ। এমন সময় চিনাদের গুলির আঘাতে মৃত্যু হয় ত্রিলোক সিংহের। গুলিতে আহত হয়ে গোপাল সিংহ কোনওমতে নিজেদের ট্রেঞ্চে ফিরে আসেন। কিন্তু বেঁচে ফেরা হল না যশোবন্তের। ট্রেঞ্চে পৌঁছনোর ঠিক আগে তাঁর মাথায় গুলি লাগে। মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু চিনাদের মেশিনগান তত ক্ষণে ভারতের দখলে।

চিনাদের থেকে মেশিনগান ছিনিয়ে ফিরছিলেন যশোবন্ত সিংহ। এমন সময় চিনাদের গুলির আঘাতে মৃত্যু হয় ত্রিলোক সিংহের। গুলিতে আহত হয়ে গোপাল সিংহ কোনওমতে নিজেদের ট্রেঞ্চে ফিরে আসেন। কিন্তু বেঁচে ফেরা হল না যশোবন্তের। ট্রেঞ্চে পৌঁছনোর ঠিক আগে তাঁর মাথায় গুলি লাগে। মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু চিনাদের মেশিনগান তত ক্ষণে ভারতের দখলে।

০৯ ১৬
১৫ মিনিটের মিশন। তাতেই ঘুরে যায় এই লড়াইয়ের মোড়। আরও দু’বার হামলা চালিয়েও ভারতের ওই পোস্ট দখল করতে পারেনি চিনারা। নুরানাংয়ের এই লড়াইয়ে ৩০০ চিনা সেনার মৃত্যু হয়। উল্টো দিকে দুই ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান, আহত হন ৮ জন। বিকেল ৩টে নাগাদ পিছু হঠার সিদ্ধান্ত নেয় চিনা সেনা।

১৫ মিনিটের মিশন। তাতেই ঘুরে যায় এই লড়াইয়ের মোড়। আরও দু’বার হামলা চালিয়েও ভারতের ওই পোস্ট দখল করতে পারেনি চিনারা। নুরানাংয়ের এই লড়াইয়ে ৩০০ চিনা সেনার মৃত্যু হয়। উল্টো দিকে দুই ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান, আহত হন ৮ জন। বিকেল ৩টে নাগাদ পিছু হঠার সিদ্ধান্ত নেয় চিনা সেনা।

১০ ১৬
অসামান্য বীরত্বের জন্য মরণোত্তর মহাবীর চক্রে সম্মানিত হন যশোবন্ত। ত্রিলোক সিংহ নেগি আর গোপাল সিংহ গুসেইন পান বীর চক্র। গাড়ওয়াল রাইফেলস-এর ওই ব্যাটালিয়ন পায় ব্যাটেল হনার। বাষট্টির যুদ্ধে সেনা সম্মান পাওয়া সেনাবাহিনীর একমাত্র ইউনিট।

অসামান্য বীরত্বের জন্য মরণোত্তর মহাবীর চক্রে সম্মানিত হন যশোবন্ত। ত্রিলোক সিংহ নেগি আর গোপাল সিংহ গুসেইন পান বীর চক্র। গাড়ওয়াল রাইফেলস-এর ওই ব্যাটালিয়ন পায় ব্যাটেল হনার। বাষট্টির যুদ্ধে সেনা সম্মান পাওয়া সেনাবাহিনীর একমাত্র ইউনিট।

১১ ১৬
সে দিন যশোবন্ত সিংহ রাওয়াত মারা গেলেও, সেখান থেকেই জন্ম নেয় তাঁকে ঘিরে থাকা কিংবদন্তি, যা তাঁকে করে রেখেছে অমর। লোকমুখে তিনি পেয়েছেন অরুণাচলের রক্ষাকর্তার স্বীকৃতি।

সে দিন যশোবন্ত সিংহ রাওয়াত মারা গেলেও, সেখান থেকেই জন্ম নেয় তাঁকে ঘিরে থাকা কিংবদন্তি, যা তাঁকে করে রেখেছে অমর। লোকমুখে তিনি পেয়েছেন অরুণাচলের রক্ষাকর্তার স্বীকৃতি।

১২ ১৬
একটা বড় অংশের মানুষ বিশ্বাস করেন, এক দিন নয়, টানা তিন দিন চলেছিল সেই যুদ্ধ। এক বাঙ্কার থেকে অন্য বাঙ্কারে গিয়ে একা লড়েছিলেন যশোবন্ত। আর তাকে সাহায্য করেছিলেন স্থানীয় দুই আদিবাসী মেয়ে সেলা আর নুরা। তিন দিক থেকে গুলি আসছে দেখে চিনারা বুঝতেই পারেনি যে একা লড়ছেন যশোবন্ত। তাদের ধারণা ছিল বিপক্ষে বেশ বড় বাহিনী রয়েছে।

একটা বড় অংশের মানুষ বিশ্বাস করেন, এক দিন নয়, টানা তিন দিন চলেছিল সেই যুদ্ধ। এক বাঙ্কার থেকে অন্য বাঙ্কারে গিয়ে একা লড়েছিলেন যশোবন্ত। আর তাকে সাহায্য করেছিলেন স্থানীয় দুই আদিবাসী মেয়ে সেলা আর নুরা। তিন দিক থেকে গুলি আসছে দেখে চিনারা বুঝতেই পারেনি যে একা লড়ছেন যশোবন্ত। তাদের ধারণা ছিল বিপক্ষে বেশ বড় বাহিনী রয়েছে।

১৩ ১৬
সেই কিংবদন্তি অনুযায়ী এর পর চিনাদের হাতে ধরা পড়ে যান সেই ব্যক্তি, যিনি যশোবন্তকে রসদ জোগাচ্ছিলেন। যশোবন্ত যে একা আছেন, রহস্য ফাঁস হয়ে যায়। তাঁকে ঘিরে ফেলা হয় চারদিক থেকে। ধরা পড়ে নুরা, সেলা মারা যায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে।

সেই কিংবদন্তি অনুযায়ী এর পর চিনাদের হাতে ধরা পড়ে যান সেই ব্যক্তি, যিনি যশোবন্তকে রসদ জোগাচ্ছিলেন। যশোবন্ত যে একা আছেন, রহস্য ফাঁস হয়ে যায়। তাঁকে ঘিরে ফেলা হয় চারদিক থেকে। ধরা পড়ে নুরা, সেলা মারা যায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে।

১৪ ১৬
লোকগাথা বলে, ৩০০ চিনা সেনাকে মেরে শেষে আত্মঘাতী হন যশোবন্ত। যাতে শত্রুপক্ষের হাতে তাঁকে ধড়া পড়তে না হয়। রাগে ফুটতে থাকা চিনারা তাঁর মরদেহের মাথা কেটে নিয়ে চলে যায়। কেউ কেউ আবার বলেন তাঁকে ফাঁসিতেও ঝোলানো হয়। কিন্তু তাঁর বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে এক চিনা সেনা কমান্ডার কাটা মস্তক সসম্মানে ভারতের হাতে তো তুলে দেনই, সেই সঙ্গে উপহার দেন তাঁর একটি পিতলের আবক্ষ মূর্তি।

লোকগাথা বলে, ৩০০ চিনা সেনাকে মেরে শেষে আত্মঘাতী হন যশোবন্ত। যাতে শত্রুপক্ষের হাতে তাঁকে ধড়া পড়তে না হয়। রাগে ফুটতে থাকা চিনারা তাঁর মরদেহের মাথা কেটে নিয়ে চলে যায়। কেউ কেউ আবার বলেন তাঁকে ফাঁসিতেও ঝোলানো হয়। কিন্তু তাঁর বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে এক চিনা সেনা কমান্ডার কাটা মস্তক সসম্মানে ভারতের হাতে তো তুলে দেনই, সেই সঙ্গে উপহার দেন তাঁর একটি পিতলের আবক্ষ মূর্তি।

১৫ ১৬
লোকে এই গল্পে বিশ্বাস করলেও সরকারি কাগজপত্রে এমন কোনও ঘটনার উল্লেখ নেই। তবে যেখানে এই লড়াই হয়েছিল, নুরানাংয়ের সেই জায়গার নাম আজ যশোবন্ত গড়। তাঁর নামে রয়েছে স্মৃতিসৌধ। এখনও তাঁর সেনা ইউনিফর্ম ধোপদুরস্ত রাখা হয়। পালিশ করে রাখা হয় বুটজোড়া।

লোকে এই গল্পে বিশ্বাস করলেও সরকারি কাগজপত্রে এমন কোনও ঘটনার উল্লেখ নেই। তবে যেখানে এই লড়াই হয়েছিল, নুরানাংয়ের সেই জায়গার নাম আজ যশোবন্ত গড়। তাঁর নামে রয়েছে স্মৃতিসৌধ। এখনও তাঁর সেনা ইউনিফর্ম ধোপদুরস্ত রাখা হয়। পালিশ করে রাখা হয় বুটজোড়া।

১৬ ১৬
তাওয়াংয়ে এলে পর্যটকরা এক বার ঘুরে যান এখানে। অনেকে চিঠিও লিখে যান তাঁর উদ্দেশে। আর এ ভাবেই মৃত্যু অনেক অনেক বছর পরেও অমর হয়ে থাকেন যশোবন্ত সিংহ রাওয়াত, থুঁড়ি বাবা যশোবন্ত সিংহ, মাত্র ২১ বছর বয়সে যিনি দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন।

তাওয়াংয়ে এলে পর্যটকরা এক বার ঘুরে যান এখানে। অনেকে চিঠিও লিখে যান তাঁর উদ্দেশে। আর এ ভাবেই মৃত্যু অনেক অনেক বছর পরেও অমর হয়ে থাকেন যশোবন্ত সিংহ রাওয়াত, থুঁড়ি বাবা যশোবন্ত সিংহ, মাত্র ২১ বছর বয়সে যিনি দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE