ভোটের ফল বেরোনোর পর লালু-নীতীশ। — ফাইল চিত্র
প্রতি পাঁচ বিধায়কে এক মন্ত্রী!
জোট মন্ত্রিসভা গড়ার ক্ষেত্রে এটাই আপাতত নীতীশের সূত্র। এবং নীতীশের এই সূত্র মেনে নিয়েছে দুই জোট শরিক, আরজেডি ও কংগ্রেস। এর ফলে মন্ত্রিসভাতেও আরজেডি-রই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখছেন নীতীশ। ২৪৩ আসনের বিধানসভা বিহারে। আইন মেনে মন্ত্রিসভায় তার ১৫ শতাংশ সদস্য থাকতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সংখ্যাটা কোনও ভাবেই ৩৬-এর বেশি নয়। নীতীশ-সূত্র অনুযায়ী মন্ত্রিসভায় সদস্য হবেন আরজেডির ১৬ জন, মুখ্যমন্ত্রী-সহ জেডিইউয়ের ১৫ জন এবং কংগ্রেসের ৫ জন।
মহাজোটের বিপুল জয়ের পরে নীতীশ কুমারের কাছে এখন সরকার তৈরিই বড় চ্যালেঞ্জ। জিতে আসা বিধায়কদের প্রায় ৫৯ শতাংশের বিরুদ্ধে কোনও না কোনও ফৌজদারি মামলা ঝুলে রয়েছে। সে কারণেই মন্ত্রিসভাকে কতটা ‘নিষ্কলঙ্ক’ রাখতে পারেন নীতীশ সেটা দেখার। কোন দলকে কোন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হবে তা নিয়েও দ্বন্দ্ব রয়েছে। উপ-মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে লালু প্রসাদের পরিবারের সদস্যেরা তো রয়েইছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্র দফতর নিজের হাতেই রাখতে চাইছেন নীতীশ। এ ছাড়াও, গত ১০ বছরে যে দফতরগুলি ভাল কাজ করেছে সেগুলিও তিনি জেডিইউয়ের হাতে চাইছেন। বিশেষ করে সড়ক, বিদ্যুৎ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য দফতর রাখতে চায় জেডিইউ। নির্বাচনের সময়ে সাতটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নীতীশ। তার মধ্যে এই চারটি দফতর রয়েছে। তবে ভাগ-বাঁটোয়ারার ক্ষেত্রে লালু প্রসাদ এবং কংগ্রেস নেতৃত্বকে কতটা খুশি তিনি করতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে।
মন্ত্রিসভা নিয়ে এ দিনই লালু প্রসাদ তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা ভোলা যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেন। লালু প্রসাদ-নীতীশ কুমারের জোট তৈরির ক্ষেত্রে ভোলা যাদব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। তবে দু’জনের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা নিয়ে কেউই কিছু বলতে চাননি। লালু প্রসাদ বলেন, ‘‘কোনও সমস্যা হবে না। সময় হলেই সব জানিয়ে দেওয়া হবে।’’ নীতীশ কুমার চাইছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর পূর্ণ মন্ত্রিসভা শপথ নিক। তাতে কোনও সমস্যা ছাড়াই প্রথম দিন থেকে কাজ শুরু করা যাবে।
ঠিক হয়েছে দীপাবলির পরেই জোট বিধায়কদের বৈঠক ডেকে দলনেতা নির্বাচন পর্ব সম্পন্ন করা হবে। তার পরেই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে প্রথা মেনে নীতীশ কুমার সরকার গঠনের দাবি জানাবেন। তবে কবে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যপালের দফতর থেকে এখনও কিছুই বলা হয়নি। শপথ গ্রহণে হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রিতদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সেই তালিকায় সনিয়া-রাহুলের পাশাপাশি রাখা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই অনুষ্ঠানে যেতে ইচ্ছুক। আসতে সম্মত হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও।
হুমকি পেলেন আনিসুজ্জামান নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা, ১০ নভেম্বর: এ বার চাপাতির ঘায়ে খুন করার হুমকি দেওয়া হল বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক ও অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে। এ দিন বিকেলে অচেনা নম্বর থেকে তাঁর মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস আসে। তাতে লেখা ছিল, চাপাতির কোপে খুন হতে না-চাইলে ব্লগারদের সমর্থন করা ছাড়ুন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও কটু কথা লেখা ছিল তাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy