Advertisement
E-Paper

সড়ক-বিতর্কে বিক্ষোভ, সমালোচনা বরাকে

বরাক উপত্যকার রাস্তাঘাট নিয়ে বিধানসভায় পূর্তমন্ত্রী তথা বরাকের বিধায়ক পরিমল শুক্লবৈদ্যের জবাবে আজ সকালে উত্তাল হয়ে ওঠে শিলচরের রংপুর এলাকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৬ ০২:৫৭

বরাক উপত্যকার রাস্তাঘাট নিয়ে বিধানসভায় পূর্তমন্ত্রী তথা বরাকের বিধায়ক পরিমল শুক্লবৈদ্যের জবাবে আজ সকালে উত্তাল হয়ে ওঠে শিলচরের রংপুর এলাকা। যে ৩৭ নং জাতীয় সড়কের ৭৬.৩৫ শতাংশ রাস্তাই যান চলাচলের উপযুক্ত বলে মন্ত্রী দাবি করেছেন, সেই সড়কের পার্শ্ববর্তী রংপুর, কাশীপুর অঞ্চলের এই হাল কেন, জানতে চান বিক্ষোভকারীরা।

সকাল ন’টায় স্থানীয় জনতা ও বিভিন্ন যানবাহনের চালক-মালিক সংস্থাগুলি জোট বেঁধে সড়ক অবরোধে নামেন। রংপুর মোটরস্ট্যান্ড ও মধুরা সেতুর মুখে পিকেটিংয়ের দরুন লক্ষ্মীপুর রোড, উধারবন্দ রোড-সহ মণিপুরগামী প্রচুর যানবাহন আটকে যায়। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা বেহাল। প্রতি মুহূর্তে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা। বহু জায়গায় রাস্তার উপর গর্ত নয়, ডোবা তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে কারও কোনও হেলদোল নেই। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ত বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে সোমবার ওই অংশে কাজ শুরুর আশ্বাস দেওয়া হয়। পরে বেলা ১২টা নাগাদ অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, প্রতিশ্রুতি পূরণে গড়িমসি

করলে মঙ্গলবার সকালে তাঁরা ফের রাস্তায় নামবেন।

পরিমলবাবু কাল বিধানসভায় জানিয়েছিলেন, বরাকের উপর দিয়ে যাওয়া ৮ নম্বর জাতীয় সড়কের (চুরাইবাড়ি-বদরপুরঘাট) ৮২ শতাংশই যাতায়াতের উপযোগী। ৬ নং জাতীয় সড়কের (মালিডহর থেকে বদরপুরঘাট, ধলেশ্বরী হয়ে মিজোরাম সীমানা পর্যন্ত) ৮৭ শতাংশের অবস্থা ভাল। বদরপুরঘাট থেকে শিলচর তারাপুর হয়ে মণিপুর সীমা পর্যন্ত গিয়েছে যে ৩৭ নং জাতীয় সড়ক, তারও ৭৬.৩৫ শতাংশ রাস্তা যাতায়াতের উপযুক্ত।

তাঁর এই হিসেবে আজ সমালোচনার ঝড় বইছে। পথে-ঘাটে, চায়ের দোকানে পরিমলবাবুই এখন চর্চার বিষয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও নানা মন্তব্যে বিদ্ধ হচ্ছেন পরিমলবাবু। বদরপুরের নাট্যকর্মী মৃত্যুঞ্জয় দাস বলেন, ‘‘শশকদের খোল পাল্টালেও নলচে একই। চোখে একই ঠুলি।’’ প্রাক্তন সরকারি কর্মী সংগঠনের নেতা জ্যোতিরিন্দ্র দে-র কথায়, ‘‘এত আমলানির্ভর হলে সব আমলাদের উপর ছেড়ে দিলেই হয়। তাহলে আর মন্ত্রীদের কী দরকার।’’ নাগরিক স্বার্থ সুরক্ষা পরিষদের কার্যনির্বাহী সভাপতি শশাঙ্কশেখর পালের কথায়, ‘‘একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।’’

barak valley
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy