Advertisement
E-Paper

সিগন্যালে দাঁড়াবে কনভয়, মন্ত্রী আবাসেই থাকবেন সর্বা

কয়নাধারার ‘মুখ্যমন্ত্রী আবাসে’ নয়, মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সরকারি মন্ত্রী আবাসেই থাকবেন সর্বানন্দ সোনোয়াল। কংগ্রেস সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার পরে আপাতত জাঁকজমকের উল্টো রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন তিনি। তাঁর কনভয়ের জন্য থামবে না রাস্তার যানবাহনও। অন্য গাড়ির মতোই ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়াবে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। রাজ্যের হবু মুখ্যমন্ত্রী আগেভাগেই কথাগুলি জানিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সব মহলকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৬ ০৩:৩৩
অভিনন্দন। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সর্বানন্দ সোনোয়াল। শনিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

অভিনন্দন। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সর্বানন্দ সোনোয়াল। শনিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

কয়নাধারার ‘মুখ্যমন্ত্রী আবাসে’ নয়, মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সরকারি মন্ত্রী আবাসেই থাকবেন সর্বানন্দ সোনোয়াল। কংগ্রেস সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার পরে আপাতত জাঁকজমকের উল্টো রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন তিনি। তাঁর কনভয়ের জন্য থামবে না রাস্তার যানবাহনও। অন্য গাড়ির মতোই ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়াবে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। রাজ্যের হবু মুখ্যমন্ত্রী আগেভাগেই কথাগুলি জানিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সব মহলকে।

আপাতত দিল্লিতে রয়েছেন সর্বানন্দ ও হিমন্তবিশ্ব শর্মা। মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য তালিকা নিয়ে গত কালই তাঁরা বিজেপির সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। রবিবার প্রথমে দল ও পরে জোটের বিধায়কদের নিয়ে বসবেন সর্বানন্দ। আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচন হবে। তার আগেই তিনি ঘোষণা করলেন, তরুণ গগৈয়ের বর্তমান সরকারি আবাস, কয়নাধারার ১ নম্বর সরকারি অতিথিশালায় তিনি থাকবেন না। সর্বার মতে, পাহাড়ের মাথায় থাকলে তিনিও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন।

নিয়ম মতো অসমের মুখ্যমন্ত্রী জেড-প্লাস শ্রেণির নিরাপত্তা পান। সেখানে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা ৩৬। গগৈয়ের কনভয়ে জ্যামার-সহ গাড়ি থাকে ১২টিরও বেশি। সর্বানন্দ নিজে নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি না চাইলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সব দিক বিচার করার পরেই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

অবশ্য নিজের স্বচ্ছ ও ভদ্র ভাবমূর্তি থাকলেও তাঁর দলের বিজয়ী বিধায়কদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতি, প্রতারণা, সিন্ডিকেট-রাজ চালানো, উদ্ধত ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের একাংশের সম্পদবৃদ্ধির অস্বাভাবিক হার, সিন্ডিকেট চালানো ইতিমধ্যেই বহুল সমালোচিত। এদের মধ্যে কেউ কেউ মন্ত্রিত্বেরও দাবিদার। তাই দলের অন্য বিধায়কদের দুর্নীতি ও ঔদ্ধত্য থেকে দূরে রাখাও হবে মুখ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ।

Sarbananda Sonowal Modi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy